মোঃ হোসেন গাজীঃ
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো তাবলীগ জামাতের তিন- দিনব্যাপি চাঁদপুর জেলা ইজতেমা।
১৯ অক্টোবর শনিবার বেলা ১২টা ৩ মিনিটে মোনাজাত শুরু হয়। এসময় আমিন আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে ইজতেমা ময়দান। মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মারকাজের সূরা প্রধান মাওলানা মনির বিন ইউসুফ। আখেরি মোনাজাতে প্রায় ২০ সহস্রাধিক মুসল্লি অংশ নেন।
মোনাজাতে বাংলাদেশ তথা সারা পৃথিবীর মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করা হয়। সেই সাথে দ্বীনের পরিবেশ কায়েম করার পাশাপাশি নবী করিম (সাঃ) এর সুন্নতের তরিকা অনুযায়ী চলার তৌফিক কামনা করা হয়। দুনিয়ার সকল মক্তব,মাদ্রাসা,দ্বীনই প্রতিষ্ঠানের হেফাজত এবং সবাইকে খেদমত করার তৌফিক এনায়েত করেন।
বিশ্বের মানুষের হেদায়েতে কাজ করতে তৌফিক কামনা করেন। মুসলমানদের হেফাজতে আল্লাহর সাহায্য কামনা এবং কাফের, মুশরিকদের হাত থেকে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের জন্য সাহায্য কামনা করেন। ২৫ মিনিটের মোনাজাতে মুসল্লিরা আমিন আমিন বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
তিন দিনব্যাপী তাবলিগ জামাতের ইজতেমা চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার স্টার আলকায়েত জুট মিলের উল্টো দিকে বালুর মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ইজতেমায় আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া,ইন্দোনেশিয়া, সৌদি আরব, কাতার, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া, শ্রীলংকা,ফিলিস্তিন, সিঙ্গাপুর, মিশর ও মরক্কো থেকে আসা মেহমানরাও অংশগ্রহণ করেন।
তাবলিগ জামাতের চাঁদপুরের মুরুব্বী হযরত মাও. আব্দুর রশিদ জানান, বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর আমবয়ানের মধ্য দিয়ে তাবলিগ জামাতের জেলা ইজতেমা শুরু হয়। ইজতেমায় ঈমানের ওপর আল্লাহর একত্মবাদ এবং রাসুল পাক (সা.) এর রেসালাত, আখলাক আখেরাতের আলোচনা করা হয়।
তিনি আরো জানান,ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের মাধ্যমে প্রায় ২০টির অধিক জামাত তৈরি হয়েছে। তারা দ্বীনের দাওয়াতে দেশের বিভিন্ন এলাকা সফর করবেন।