কামরুল ইসলাম চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মঞ্জুর কে ওমরা করতে যেতে দেওয়া হয়নি। এই বিষয়ে জানাযায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টার ফ্লাইটে জেদ্দা যাওয়ার উদ্দেশে বিমানবন্দরে এলে তাকে আটকে দেওয়া হয়। তিনি ওমরা করতে সৌদি আরব যাচ্ছিলেন। এস আলমের গাড়ির পাস করার বিষয়ে তিনি সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের ভিত্তিতে তাকে বিদেশ যেতে দেয়া হয়নি বলে বিমানবন্দরের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে। সূত্র জানায়, বুধবার রাতে নগরীর চেরাগী মোড়স্থ সানমার বিল্ডিং নামের একটি এ্যাপার্টমেন্ট থেকে এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন একটি গাড়ি জব্দ করে পুলিশ। রাত ১০টার দিকে, সানমার বিল্ডিং’ নামের ভবনটি থেকে গাড়িটি জব্দ করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ‘চট্টমেট্রো–ঘ–১১–৫৩৪৪’। ওই পার্কিংয়ে এস আলম গ্রুপের আরও দুটি গাড়ি ছিল। কিন্তু পুলিশ আসার খবর পেয়ে সেখান থেকে দুইটি গাড়ি আগেই সরিয়ে ফেলা হয়। ওই ভবনের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন বিএনপি নেতা মনঞ্জরুল রহমান চৌধুরী। পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থার কাছে অভিযোগ রয়েছে যে, বিএনপি নেতা মনঞ্জুরুল রহমান চৌধুরী ওই দুইটি গাড়ি সরানোর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। পুলিশ ও বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, গাড়িটি এস আলম গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সোনালী লজিস্টিকসের নামে নিবন্ধিত। রেজিস্ট্রেশনে নগরীর আছদগঞ্জ এলাকায় এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন একটি ভবনের ঠিকানা রয়েছে। বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইব্রাহিম খলিল গতরাতে দৈনিক আজাদীকে বলেন, একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থা এস আলমের গাড়ি কেলেঙ্কারি কাণ্ডের বিষয়ে মঞ্জুরুল রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছিল। সেটির পরিপ্রেক্ষিতে তাকে বিমানবন্দরে আটক করে রাখা হয়। তিনি সৌদি আরবে ওমরাহ পালন করতে যাচ্ছিলেন। আজ বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তার ফ্লাইট ছিল। উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট সন্ধ্যায় নগরের চান্দগাঁও থানার কালুরঘাট এলাকার একটি কারখানা থেকে ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি বের করার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনামসহ তিন বিএনপির নেতাকে দল থেকে পদ স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এছাড়াও গত ২৮ আগস্ট এস আলম গ্রুপের গাড়িতে চড়ে কক্সবাজার থেকে পেকুয়া উপজেলায় নিজ এলাকায় সংবর্ধনায় এসে সমালোচনার মুখে পড়েন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ। পরে তিনি এ ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। এবার এস আলম গ্রুপের গাড়ি পাস করার বিষয়ে ওমরা করতে যেতে পারলেন না বিএনপি নেতা মঞ্জুরুল রহমান চৌধুরি।