কক্সবাজার

ইসলামাবাদে খাস জায়গা দখলে নিতে দু পক্ষই মরিয়া হয়ে উঠেছে সংঘর্ষের আশঙ্কা

ঈদগাঁও প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদের টেকপাড়ায় খাস জায়গা দখলে নিতে দু’পক্ষই মরিয়া হয়ে উঠেছে। এতে যেকোন মুহূর্তে সংঘর্ষের আশঙ্কা করেছেন স্থানীয়রা। জানা যায়,ইসলামাবাদ ইউনিয়নের টেকপাড়া জামে মসজিদের পরে স্থানীয় বাজারের সামনে গোমাতলী সড়ক সংলগ্ন বিরোধীয় একটি খাস জায়গা দখলে নিতে দুপক্ষই সক্রিয় হয়ে উঠে। ঘটনাস্থলে ঈদগাঁও থানা পুলিশের একটি টিম পরিদর্শন করেছেন। এই জায়গাটি নিয়ে পূর্বেও হামলার ঘটনা ঘটেছিল।

তথ্য মতে, ১৩ই মার্চ আনোয়ার হোসেন জাহেদ, পিতা নুরুল আজিম, টেকপাড়া,১নং ওয়ার্ড, ইসলামাবাদ ইউনিয়ন,থানা ঈদগাঁও,জেলা কক্সবাজার কর্তৃক ২য় পক্ষ শামশুল আলম, পিতা মৃত আছদ আলী,টেকপাড়া,১নং ওয়ার্ড, ইসলামাবাদ ইউপি,থানা ঈদগাঁও, জেলা কক্স বাজারসহ চার জনের বিরুদ্ধে ফৌ:কা: বি: ১৪৪ ধারামতে একখানা আবেদন করেন। বিজ্ঞ কৌশলীর বক্তব্যে বলেন যে,নালিশী জমি প্রথম পক্ষের দখলে রয়েছে এবং নালিশী জমি সকল ডকুমেন্ট আছে। ২য় পক্ষ জোরপূর্বক নালিশে জমির দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। এতে শান্তিভঙ্গের আশংকা বিদ্যমান। নথি পযালোচনা করা হয়। সার্বিক বিবেচনায় এসিল্যান্ড ঈদগাঁও বিরোধীয় জায়গার বিষয়ে সরেজমিন তদন্তপূর্বক মতামত সহ আগামী ধার্য তারিখের পূর্বে রিপোর্ট দেয়ার জন্য বলা হল। অফিসার ইনচার্জ ঈদগাঁও থানা বিরোধীয় জায়গায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখবেন।

কিন্তু আদালতের সেই ১৪৪ ধারাকে তোয়াক্কা না করে বিবাদী পক্ষ খাস জায়গায় নির্মাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। ১৫ই মার্চ দুপুরের দিকেই খবর পেয়ে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় ঘটনাস্থলে পুলিশ পরিদর্শন করেছেন।এক মহিলা জানান, পূর্ব পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে হঠাৎ করে বিবাদী পক্ষ লোকজন নিয়ে খাস জায়গায় দেয়াল নির্মাণ করে যাচ্ছে। এতে আমরা হতাশ।বিবাদী শামসুল আলম দীর্ঘ বছর পর ডিগ্রি পেয়েছেন বলে দাবী করেন এবং খাস জায়গায় কাজ করার কথাও স্বীকার করেন। ইসলামাবাদ ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান নূর সিদ্দিক জানান,বিরোধীয় জায়গাটি খাস।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মুঠোফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

Back to top button