বরিশাল প্রতিনিধিঃ
বরিশাল নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শেখর দাসের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চাঁদাবাজির ঘটনায় মঙ্গলাবার (৯ এপ্রিল) বরিশাল চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে শেখর দাসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন তারেক শাহ নামের এক ব্যক্তি।
আদালতের বিচারক মামলাটি কোতয়ালী মডেল থানার ওসিকে থানায় এজাহার গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হলেন-১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শেখর দাস (৪০) ও খোকন (৬০) সহ অজ্ঞাত ১০/১২ জন।
মামলা সূত্রে জানা যায় – বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শেখর দাসের নেতৃত্বাধীন একদল সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ গ্রুপ গড়ে উঠেছে। অভিযুক্তরা সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক। তারা আইনকানুনের তোয়াক্কা করে না। তারা বিভিন্ন সময় স্পীডবোট ঘাটে গিয়ে তারেকসহ স্পীডবোট ড্রাইভার ও মালিকদের কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিতে চাইলে লাইন বন্ধ করে দেয়াসহ খুন জখমের হুমকি দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ২৫ মার্চ ঘাটে এসে নগদ ৬২ হাজার টাকা চাঁদা নিয়ে যায় শেখর দাস বাহিনী। চাঁদা নিয়েও ক্ষান্ত না হয়েও তারেকের কছে চাঁদা দাবি অব্যাহত রাখে তারা। যার জের ধরে সর্বশেষ চলতি বছরের ৩০ মার্চ বিকেল ৩টায় শেখরের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের একটি সন্ত্রাসী দল ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড নিয়ে ডিসি ঘাটে গিয়ে তারেকের কাছে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে লাইন বন্ধসহ খুন জখমের হুমকি দিয়ে চলে যায়।
ইতিপূর্বে শেখর দাসের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চাদাঁবাজি ও টেন্ডারবাজিসহ নানা অভিযোগে তার সাংগঠনিক কর্মকান্ড স্থগিত করে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ।
অভিযোগকারী মোঃ তারেক শাহ্ বলেন, আমরা স্পীডবোট চালিয়ে পরিবার চালাই। এর মধ্যে বিভিন্ন সময় শেখর দাস তার দলবল নিয়ে এসে চাঁদা নিয়ে যায়। আমারা প্রতিবাদ করলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে। এ ঘটনায় আমি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এটিএম আরিচুল হক বলেন- আদালতের নির্দেশের কাগজ এখনো হাতে পাইনি। কাগজ হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।