শিফা চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রম অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোকশেদুল আলম নিজকে শেখ হাসিনার আত্বীয় পরিচয় দিয়ে পুরো অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জিম্মি করে গত ১৫ বছর। নিজের ক্ষমতার অপব্যবহারে পুরো অফিস জিম্মি তার কাছে। ক্ষমতার দাপুটে অসহায় হয়ে পড়েন অফিসের খোদ পরিচালকসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ক্ষমতার দাপুট দেখিয়ে শ্রমিক সংগঠন ও ট্রেড ইউনিয়নগুলোর রেজিস্ট্রশন দেয়া না দেয়া যাবতীয় কাজ নিয়ন্ত্রন করে আসছেন সহকারী পরিচালক মোকশেদুল আলম। গত ১৫ বছর বছর শ্রম অধিদপ্তরকে জিম্মি করে গড়ে তোলেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়। নগরীর লালখানবাজারে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বাড়ি, হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ গ্রামের বাড়িতে আলিশান বাড়ি, গাড়ি, নিজের নামে স্ত্রী আত্বীয় স্বজনের নামে দুর্নীতির মাধ্যমে গড়ে তোলেন নগদ টাকাসহ প্রায় ১০ কোটি টাকার বেশি অবৈধ সম্পদের পাহাড়। গত ১৫ বছর আওয়ামী শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সফর আলীকে সাথে নিয়ে অনিয়ম দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য হিসেবে গড়ে তোলেন সহকারী পরিচালক মোকশেদুল আলম। মোকশেদুল আলম শ্রম অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হলেও পুরো শ্রম অধিদপ্তর গত ১৫ বছর ধরে এখনো তার নিয়ন্ত্রণে। ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শওকত আলম শওকতের আপন ভাই শ্রম অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোকশেদুল আলম। ফরহাদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বেলাল উদ্দীন চৌধুরী বলেন, উনি আওয়ামী পরিবারের সদস্য, তবে এলাকায় নোংরা রাজনীতি উনি এবং উনার পরিবার করতে দেখিনি এক কথায় একজন ভালো মানুষ হিসেবে আমরা জানি।
এ বিষয়ে শ্রমিক নেতা আবু বক্কর ছিদ্দিক বলেন, শ্রম অধিদপ্তরের মোরশেদসহ কয়েক জন সাধারণ শ্রমিকদের খুব নির্যাতন করেছে, তাদের নির্যাতনে সাধারণ শ্রমিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো প্রতিবাদ করার সাহস পর্যন্ত করেনি, আওয়ামী লীগের দাপুট দেখিয়ে তারা যেটা করেছে সেটা কখনো মেনে নেয়ার মত না। এ বিষয়ে শ্রমিক দলের বিভাগীয় সভাপতি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এম নাজিম উদ্দীন বলেন, মোকশেদ-রিদুয়ান মিলে একটি সিন্ডিকেট আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মী বাহিনীর মত হয়ে কাজ করেছে তারা। তারা এতদিন পর্যন্ত অফিসে বহাল থাকা মানে খুব দুঃখজনক, এখনো তারা সৈরচারের দোসর হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে শ্রম অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহকারী পরিচালক মোকশেদুল আলম বলেন, আমি একটা জায়গায় থাকলে অনেক সময় ইচ্ছের বাইরে গিয়ে কাজ করতে হয়। আওয়ামী লীগের সময়ে আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করছি এখন শ্রমিক দলের হয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি, তবে নাজিম ভাই একজন সম্মানিত মানুষ উনি যখন অফিসে গেছে তখন উনার উনার প্রাপ্য সম্মান উনাকে দেয়ার চেষ্টা করছি। এ বিষয়ে শ্রম অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক গিয়াস উদ্দীন বলেন, অফিস স্টাফ কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আসলে তার বিরুদ্ধে অফিসিয়াল ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে আমার অফিস স্টাফদের মাধ্যমে আমার কাছে আসলে আমি বিচার করব। প্রয়োজনে যেখানে যেটা করতে হয় আমি সেটা করব।