ঈদগাঁও প্রতিনিধিঃ
ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের মালিকানাধীন জমি জবর দখলের চেষ্টা চলছে। শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীরা ঘটনাস্থলে যান। ঈদগাঁও থানা পুলিশের এসআই নোমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিমও ঘটনাস্থলে আসেন। পর ক্ষণে বাজার ইজারাদার রমজানুল আলম উক্ত স্থানে পৌঁছেন। অন্যদিকে দুপুরে ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম কবিরসহ পুলিশ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ পরিদর্শক নোমান উপস্থিত শিক্ষক ইজারাদার ও জবরদখলকারীদের কাগজপত্র সমেত বসে আপস- মীমাংসা করার কথা বলেন। অন্যথায় তিনি প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন। মাসখানেক আগে কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট জমির ডিজিটাল সার্ভে করা হলেও তার রিপোর্ট এখনো বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে দেয়া হয়নি বলে উপস্থিত শিক্ষকরা জানান। অন্যদিকে জমি দাবিকারীদের পক্ষে আরও বেশ কয়েকজনের নামও শোনা যাচ্ছে।
ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খুরশীদুল জন্নাত জানান, যৌথভাবে ডিজিটাল সার্ভে করা হলেও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এখনো তার প্রতিবেদনটা দেয়া হয়নি। তিনি বিদ্যালয়ের মালিকানাধীন এক ইঞ্চি জমিও কেউ দখল করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা উল্লেখ করেন। তিনি এখনো ডিজিটাল সার্ভের রিপোর্ট না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হাসান রাশেদ বলেন, কয়েকদিন আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যে দাগটি দিয়েছিলেন তা মেনে নিলে তো কোন সমস্যা হবার কথা নয়।
ঈদগাঁও বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা পরিষদের সহ-সাধারণ সম্পাদক হাসান তারেক জানান, ডিজিটাল সার্ভের রিপোর্টটি এখনো প্রকাশ করা হয়নি। কাগজপত্রসহ এক টেবিলে আনা গেলে সমস্যার সহসা সমাধান হয়ে যেত।এদিকে সংগঠিত ঘটনায় একই দিন ঈদগাঁও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এ অভিযোগটি দাখিল করা হয়।
প্রাপ্ত অভিযোগ প্রকাশ, ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পশ্চিম পাশে পুরাতন মাছ বাজার সংলগ্ন বিদ্যালয়ের প্রায় ৬ শতক জমি রয়েছে। বিদ্যালয়ের নামে উক্ত জমির বি, এস খতিয়ান চূড়ান্ত প্রচারিত আছে। দীর্ঘদিন একটি চক্র উক্ত জমি জবর দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির সুযোগে চক্র টি সকালে জমিটুকু জবর দখলের জন্য জমির আশেপাশে নির্মাণ সামগ্রী ও বেড়া মজুদ করতে থাকে। সংবাদ পেয়ে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী এম,শামসুল আলম তাদেরকে বাধা দেন। এতে চক্রটির সাঙ্গ- পাঙ্গরা তাকে মারধর করতে উদ্যত হয়। তার চিৎকারে স্থানীয় লোক জন এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করেন। ঘটনার সময় তারা বিদ্যালয়ের ওই জমি যেকোন মূল্যে দখল করে নেয়ার হুমকি দেয়। দখল কাজে বাধা দিলে তাকে ও তার পরিবারবর্গকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোসহ হত্যা করার হুমকি-ধামকি দেয়। ভূক্তভোগী আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, ওই চক্রটি যেকোন সময় বিদ্যালয়ের জমি ঘেরা- বেড়া দিয়ে জবরদখল করে স্কুলের বিরাট ক্ষতি সাধন করবে। নিরাপত্তাহীনতায় থাকা ভুক্তভোগী শামসুল নিরুপায় হয়ে এ অভিযোগ দায়ের করে । অভিযোগে তিনি আইনানুগ পদক্ষেপ কামনা করেছেন। অভিযুক্তরা হচ্ছেন ঈদগাঁও গরুর বাজারের মৃত আব্দুল গনির পুত্র রমজানল আলম, জাগির পাড়ার মৃত মমতাজ আহমদের পুত্র আমির সুলতান, ইসলামাবাদ হিন্দু পাড়ার রবীন্দ্র কান্তি দের পুত্র বাবুল কান্তি দেসহ অজ্ঞাতনামা আরো ডজনাধিক ।