আতাউর রহমান তুহিন কয়রা প্রতিনিধিঃ
খুলনা জেলার কয়রা থানার আমাদী ইউনিয়নের চন্ডীপুর গ্রামে জোরপূর্বক অবৈধভাবে জমি দখল করাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় কয়রার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ৩০ শে আগষ্ট কিশোর কুমার ঢালী বাদী হয়ে কয়রার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪ জনকে আসামী করে এ মামলা দায়ের করনে। মামলা নম্বর মিস মামলা-১২/২০২৩ (কয়রা)। মামলার আসামীরা হলেন আলমগীর হোসেন, লুৎফর রহমান সানা, আকরাম সরদার,চয়ন রায়, মিলন রায়,জামিনুর রহমান সানা, মোমিন উদ্দীন সরদার, বাপ্পি সানা, মোঃ গাউচ গাজী, মোঃ রশিদ সানা, সাব্বির গাজী, এনায়েত সরদার, আবু সাঈদ সরদার, মোহাসিন সানা প্রমূখ।
মামলার আরজি ও বাদী সুত্রে জানা যায়, বাদীর কিনুকাটি বেড়বাড়ী মৌজার জমি জোর পূর্বক দখল করা নিয়ে আসামীদের সহিত দীর্ঘদিন যাবত মামলা মোকদ্দমা চলিয়া আসিতেছ। সর্বশেষ মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ একটা রুল জারি করে যাহার নম্বর সিভিল রুল-৫৬২/২০২২, এফএ নম্বর ২৩৫/২০১৩ সেখানে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ স্ট্যাটাস কো এর আদেশ দেন। মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ উপেক্ষা করে আসামীগন গত ইং ১৭/০৮/২০২৩ তারিখে পুর্ব পরিকল্পনামতে বাদীর বোন ও স্ত্রী বাদীর তফসিলভুক্ত জমিতে গেলে তাদেরকে দা, শাবল লোহার রড দিয়ে জীবনে শেষ করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে মাথা সহ সারা শরীরে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। তাছাড়াও বাদীর বোন ও স্ত্রীকে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানিসহ পানিতে চুবিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। বাদী ৯৯৯ এ কল করে ও স্থানীয় স্বাক্ষীগন ও লোকজন উপস্থিত হয়ে আমাদী ইউপি চেয়ারম্যানকে কল করলে তিনি তাৎক্ষণিক গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে গুরুতর আহত ভিকটিমদ্বয়কে উদ্ধার করে ভিকটিমদ্বয়কে জায়গীরমহল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। পরবর্তীতে তাদের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমদ্বয়কে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠান। উল্লেখ্য আদালতে মামলা দায়েরের পরে আদালতে মামলাটি এফআইআর হিসেবে নিতে কয়রা থানাকে নির্দেশ প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে আমাদী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জিয়াউর রহমান জুয়েল এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, চন্ডীপুরের মারামারির ঘটনা সত্যি, আমি ঘটনা জানতে পেরে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে গুরুতর আহত ভিকটিমদ্বয়কে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এ ব্যাপারে কয়রা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ প্রতিবেদককে বলেন, মামলার ব্যাপারে কোর্টের নির্দেশ পেয়েছি, মামলা রুজু হয়েছে, আসামী ধরার জোর চেষ্টা ও অভিযান চলতেছে।