বগুড়ায় উত্তরা মডেল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত ডিউটি ডাক্তারের কতৃক সাংবাদিক লাঞ্ছিত।


গুলজার রহমান ক্রাইম রিপোর্টারঃ
বগুড়া শহরের কানোছগাড়ী এলাকায় অবস্থিত উত্তরা মডেল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক সাংবাদিককে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চাচাতো ভাইয়ের পরকীয়া সম্পর্কিত তথ্য যাচাই করতে ক্লিনিকে গেলে দায়িত্বরত ডাক্তার পারভেজ মোশারফ (ডি.এম.এফ, ঢাকা) ওই সাংবাদিকের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন এবং ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন এক পর্যায়ে সাংবাদিকের গায়ে হাত তোলেন। পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িত অজ্ঞাত ওই ছেলেটি ডাক্তার পারভেজ মোশারফ এর আপন চাচাতো ভাই বলে জানা যায় তার বাড়ি নাটোর জেলায়, এবং পরকীয়া অজ্ঞাত ওই ছেলেটি দীর্ঘদিন ধরে বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলার একটি মেয়ের সাথে তার অনৈতিক সম্পর্ক থাকার কারণে ডাক্তার পারভেজ মোশারফ এটি নিজে নিজেই সমাধান করার চেষ্টা করেন অতঃপর মেয়ে পক্ষের কিছু লোকজন এবং ছেলে পক্ষ থেকে ডাক্তার মোশারফ পারভেজ উপস্থিত থেকে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করলে সাংবাদিক জানতে পারেন এই ঘটনার খবর পেয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে ডাক্তার পারভেজ মোশাররফ সাংবাদিকের সাথে অসভনীয় আচরণ করেন। আরো জানা যায় নাটোরের ওই অজ্ঞাত ছেলে ও মেয়ে দুজনেই বিবাহিত তাদের বাচ্চাও আছে। এর আগেও এই ক্লিনিকে ভুল রিপোর্ট দেওয়ার কথা বলে সাংবাদিককে ডেকে নিয়ে গিয়ে রোগীর তথ্য না নিতেই আগেই বের করে দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তির মাধ্যমে জানা যায় এই ডাক্তার বিভিন্নভাবে টেপেন্ডটাডল ট্যাবলেট পাইকারি কিনে তা কিছু মাদক বিক্রেতার কাছে কম দামে বিক্রি করেন, কোথায় থেকে সংগ্রহ করেন ওই ব্যক্তিকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন সে বিভিন্ন সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত। এ ডাক্তারের বাসা নাটোর জেলায় সে বগুড়ায় দীর্ঘদিন ধরে উত্তরা মডেল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কর্মরত আছেন একাধিক অন্যায় অপকর্মের একটি শক্তিশালী টিম তার পক্ষে কাজ করে। ক্লিনিকের পরিচালক এগুলো জেনেও তা মৌখিকভাবে অস্বীকার করেন। একাধিক তথ্যর ভিত্তিতে সাংবাদিক যখন ভিডিও করতে যায় তখন সাংবাদিককে লিফট থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় উত্তরা মডেল ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর ডিউটি ডাক্তার পারভেজ মোশারফ ডি এম এফ ঢাকা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাংবাদিক সমাজে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, উক্ত চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত রয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, বিষয়টি ক্লিনিকের মালিক জানলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেননি। এ ঘটনায় এলাকাবাসী দ্রুত তদন্তপূর্বক দোষীর বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।










