কামরুল ইসলাম
র্যাব-১৫, কক্সবাজার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বদ্ধ পরিকর। মাদক কারবারীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে এ্যাডভান্স টিম গঠন’সহ ছদ্মবেশ ও নানাবিধ অভিনব পন্থায় দেশের বিভিন্ন জায়গায় মাদক ছড়িয়ে দিচ্ছে। ফলশ্রুতিতে যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। দেশব্যাপী মাদকের বিস্তাররোধে র্যাব-১৫ কর্তৃক কক্সবাজার ও বান্দরবানের বিভিন্ন স্থানে প্রতিনিয়ত মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাসহ আন্তরিকতার সহিত নিরলসভাবে কাজ করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৫, আভিযানিক দলের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারীর প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানাধীন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডস্থ ম্রাছাঅংচকপাড়া কমিউনিটি সেন্টার সামনে কতিপয় মাদক কারবারী মাদকদ্রব্য ক্রয়-বিক্রয়/অন্যত্র প্রেরণের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ রাত অনুমান ০৩.৩০ ঘটিকায় র্যাব-১৫, কক্সবাজার এর সিপিএসসি’র একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানিক দল অভিযান পরিচালনাকালে কমিউনিটি সেন্টারের পূর্ব পাশে চাকডালা-নাইক্ষ্যংছড়ি পাকা রাস্তার উপর পৌঁছালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে একজন মাদক কারবারীকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত ব্যক্তিকে তল্লাশী করে তার হেফাজত হতে সর্বমোট ৫০,০০০ (পঞ্চাশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয় মোঃ বক্তার আহাম্মদ (৩৯), পিতা-হাজী আব্দুল মজিদ, মাতা-নাসিমা খাতুন, সাং-বালুখালি, পানবাজার, ২নং ওয়ার্ড, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারী বেশ কিছু দিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইয়াবার ব্যবসা করে আসছে।
সে মাদকদ্রব্য ইয়াবা পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে নিজের হেফাজতে মজুদ করে থাকে। পরবর্তীতে মজুদকৃত ইয়াবার চালান কক্সবাজারের উখিয়ায় বিক্রয়ের পাশাপাশি সে আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হওয়ার জন্য নানাবিধ অভিনব পন্থায় উখিয়া থেকে বান্দরবানের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ইয়াবা বিক্রয় করে আসছিল বলে জানায়।
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ইয়াবাসহ ধৃত মাদক কারবারীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।