শেখ ফারুক হোসেন বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার লাবণ্যবতী খালের উপর নির্মিত কুলিয়া ব্রীজের তলার গোল স্প্রীং রোলার সহ বিয়ারিং প্যাড চুরি করে নিয়ে গিয়েছিল দূর্বৃত্তরা। যার কারনে উক্ত ব্রীজ দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলে প্রচন্ড ঝুকিপূর্ন হয়ে উঠেছিল। যেকোন সময় ব্রীজটির একাংশ ধ্বসে সাতক্ষীরা টু মুন্সিগঞ্জের মানুষের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছিল। গত বুধবার কুলিয়া বাজার কমিটির সেক্রেটারী সাংবাদিক আবু হুরাইরা তার ব্যাক্তিগত ফেইসবুক আইডিতে চুরি যাওয়া বিষয়টি লাইভ করলে ভিডিওটি মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। যার কিছু সময়ের মধ্যে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি গোচর হয়। এরপরই বিকেল ৩ টার দিকে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের এস.ই মতিয়ার রহমান এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। গত বৃহস্পতিবার দৈনিক সাতক্ষীরার সকাল, দৈনিক পত্রদূত,দৈনিক যুগের বার্তা পত্রিকা সহ কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হওয়ার পারে, তারই প্রেক্ষিতে শনিবার সকালে উক্ত ব্রীজের চুরি যাওয়া গোল স্প্রীং রোলার সহ বিয়ারিং প্যাড নতুন করে পূনঃ স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। ফলে আশংকা মুক্ত হলো দেবহাটার এই গুরুত্বপূর্ণ কুলিয়া ব্রীজ। এই চুরির ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের কথা উল্লেখ করে দেবহাটা থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের এস.ই মতিয়ার রহমান। উল্লেখ্য, বুধবার সকালে ৯টার দিকে একজন ছাগল চড়াতে আসেন উক্ত ব্রীজের দক্ষিণ পাশে নিচের দিকে। সেসময় তিনি দেখতে পান ব্রীজের একটি বীমের নিচে থেকে গোল স্প্রীং রোলারের জায়গাটি ফাঁকা।তখন সে উপরে এসে লোকজনের সাথে বিষয়টি নিয়ে বলাবলির এক পর্যায়ে কুলিয়া বাজার কমিটির সভাপতি সাংবাদিক রুহুল আমিন ও সেক্রেটারী সাংবাদিক আবু হুরাইরাকে খবর দেয়। সাথে সাথে তারা সেখানে যেয়ে বিষয়টি দেখে হতবাক হয়ে যায়। এরপরই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করে বাজার কমিটির সেক্রেটারী সাংবাদিক আবু হুরাইরা তার ব্যাক্তিগত ফেইসবুক আইডিতে লাইভ করে। সাথে সাথে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লেসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। এরপরই বিকেল ৩ টার দিকে সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের এস. ডি মতিয়ার রহমান এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান অতি দ্রুত বিষয়টি সমাধানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কারন এই মুহুর্তে ভারী যানবহন চলাচল করলে ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়ে পারাপারের অযোগ্য হয়ে যেতে পারে। তাই দ্রুত ব্যবস্তা গ্রহন করছি। এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছে, সরকার পরিবর্তনের পর এই এলাকায় জুয়াড়ী ও মাদকাসক্তদের আনাগোনো বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে তাদের দ্বারা এধরনের চুরি সংগঠিত হতে পারে। এব্যাপারে কুলিয়া বাজার কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে এই জুয়াড়ী ও মাদকাসক্তরা স্থানীয় লোকজনের ছত্রছায়ায় থাকায় তাদের নিবৃত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাছাড়া ব্রীজের নিজের দিকের ঘটনা হওয়ায় ও সেদিকে কোন দোকানপাট না থাকার কারনে বাজারের নাইটগার্ডের পাহারারআওতায় উক্ত ঘটনাস্থল নেই। তবে চুরির ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওয়তায় নিয়ে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন কুলিয়া বাজার কমিটি। উল্লেখ্য, ঘটনা স্থলে এক বিগত ২০ বছর আগে লঞ্চ ও টলার ঘাট হিসেবে ব্যবহার হতো। সেখানে প্রতিদিন প্রচুর যাত্রী পানি পথে যাতায়াতে উপস্থিত হতো।