বিশেষ প্রতিনিধিঃ
লোহাগাড়া উপজেলা সদরে ১নং ওয়ার্ডের বিমান বিল্ডিং রোডস্থ চৌধুরী সড়কে ইলিয়াছ বিল্ডিং এর একটু পরে ১৫০ফুটের একটি নালা নির্মাণ করা হয়। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এ বরাদ্দটি দেওয়া হয়। কাজটি করতে না করতেই নালার অর্ধেক ওয়ালটি ভেঙে পড়ে গেছে। বাকি অর্ধেক যেকোন মুহুর্তে ভেঙে পড়ে যেতে পারে। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করার কারণে এ নালাটি ভেঙ্গে পড়ে গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সড়কটি চলাচলে অনেক জন গুরুত্বপূর্ণ। বিগত ১ আগস্ট থেকে কাজ শুরু করা হয়। টানা ১০দিন এ সড়কের পার্শ্বে নালার কাজটি শেষ করতে সময় লাগে। গত ১৫ আগস্ট এর কাজ সম্পন্ন করা হয়। কাজে অতি নিম্নমানের সামগ্রী দেওয়ার কারণে নালাটি ভেঙে ধেবে গেছে। দুদিন ধরে ভারি বর্ষণের কারণে পানি চলাচলে সড়কে পাশে এ নালাটি ভেঙে গেছে।দ্রুত নালাটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া না হলে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা ইলিয়াছ জমিদার জানান, কাজটি করার সময় মজবুত করে ভাল মানের সামগ্রী করতে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বার বার বলেছি। আমাদের বাড়ির সামনে সড়কে নালাটি করার পরেরদিন ভেঙ্গে গেছে।কাজে মেস্তিকে অনেক বার বলেছি, আমার কথা তারা পাত্তায় দেয়নি। নালার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী দেওয়ার কারণে ভেঙ্গে গেছে।দ্রুত নালার কাজটি করা না হলে নষ্ট হয়ে যাবে। তাই সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জাফর আহমদ জানান, কাজটি ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দ। একজন মেস্ত্রী কে দিয়ে কাজ করা হয়েছে। বিষয়টি সরেজমিনে গিয়ে দেখে পুণরায় সংস্কার করে দেওয়া হবে। লোহাগাড়া সদরের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুরুচ্ছাফা চৌধুরী জানান, নালা ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি জেনেছি। কোন ধরণের নিম্নমানের সামগ্রী দেওয়া হয়নি। ভারি বর্ষণের কারণে পানি চলাচলে নালার অর্ধেক ভেঙে গেছে। নালা নির্মাণের বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ইউপি সদস্য তেমন কোন তদারিকি করেন নাই। ভেঙে যাওয়া নালার কাজটি দ্রুত করে দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মুহাম্মদ ইনামুল হাছান জানান,নালা ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জেনেছি।নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।