বান্দরবান প্রতিনিধিঃ
বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কাটাবিল গ্রামে দীর্ঘদিনের বসতভিটা ও সৃজিত বাগান নকল কাগজ পত্র সৃজন করে একটি পরিবারকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সেক্ষেত্রে এ ঘটনায় বিভিন্ন জায়গায় ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের দ্বারস্থ হয়েও প্রতিকার পাচ্ছে না ভুক্তভোগী পরিবার। সেক্ষেত্রে আইন -আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন আব্দুল সাত্তার পরিবার।
সরেজমিনে ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানা যায়,, লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের কাটা বিল (৩ নং ওয়ার্ড) এলাকার গ্রামের সুফিয়া বেগম স্বামী আব্দুল সাত্তার গং সঙ্গে বসতবাড়ির জমির মালিকানা নিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার, পিতা মৃত আমির হোসেন মজুমদার, নুরুল ইসলাম, মোঃ হোসেনদের সাথে বিরোধ চলে আসছে।
সেখানে সুফিয়া বেগম এর স্বামী আব্দুল সাত্তার নামে ২৮৬ নং ফাঁসিয়াখালী মৌজার (ভাসমান) আর/২৩ হোল্ডিং এ ৫.০০ (পাঁচ) একর ২য় ও ৩য় শ্রেনীর জায়গা তৌজিভূক্ত আছে। ১৯৮২-৮৩ ইং সনের ৫৫৭৬ নং বন্দোবস্তী মূলে সরকার বাহাদুর হইতে প্রাপ্ত হইয়া বিগত ০১.০৭.১৯৮৩ ইং হইতে সন খাজনা পরিশোধ করিয়া তথায় নিম্ম তফশীলভূক্ত জায়গা ঘরবাড়ি, বাগবাগিচা সৃজন করিয়া সুদীর্ঘ বছর ধরে শান্তিপূর্ণভাবে নিরবিচ্ছিন্ন বজায় রাখিয়া স্থায়ীভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছিল।
সেক্ষেত্রে তাদের জায়গা ও বাগবাগিচার উপর দূলোভে বশিভূত হইয়া প্রায় সময় জায়গা দখল করার পায়তারাসহ প্রতিপক্ষরা ভীতিগ্রস্ত করে আসছে জাকের হোসেন মজুমদারের গংরা। পরিবার পরিজন নিয়ে জায়গা ঘরবাড়ি সৃজিত বাগান বাগিচা ছেড়ে যাওয়ার জন্য ভীতিগ্রস্ত ও হুমকি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে। শান্তিতে বসবাসে বিঘ্নতা ও দখল-বেদখল হওয়ার আশু আশংকা করছি। তারা আমাদের ভোগদখলীয় জায়গার উপর প্রতিনিয়ত জোর জুলুম করছে।তারই ধারাবাহিকতায় ১৬/১১/২০২৩ ইং,রোজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮ ঘটিকার সময় আমাদের ভোগদখলীয় জায়গায় জাকের হোসেন গংরা ধারালো দা,লাঠি,লোহার রডসহ ইত্যাদি নিয়ে ভোগদখলীয় জায়গায় গায়ের জোরে এসে গাছ গাছালি কেটে নেওয়া ও বসত ঘর ভাংচুর করে জোর পূর্বক জায়গা দখল করার প্রস্তুতি নিলে আমার পরিবারের লোকজন বাধা দিলে আমাদেরকে হুমকি ও ভীতিগ্রস্ত করিয়া বিভিন্ন খারাপ ভাষায় গালিগালাজ, বসতবাড়ি বাগবাগিচা ছেড়ে চলে না গেলে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করিয়া চলে যায়। এতে আমাদের দীর্ঘ দিনের জায়গা বেদখল হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
ভূক্তভোগী আব্দুল সাত্তার ও তার স্ত্রী সুফিয়া জানান, আমরা গরীব ও নিরক্ষর মানুষ আমাদের কোন ভালো ঘরবাড়ি নাই কুড়ে ঘরে ছেলে -মেয়ে নিয়ে বসবাস করছি। সরকারি ঘর দিবে বলে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে চকরিয়া জাকের হোসেন চেয়ারম্যান এর একটি প্লাট বাড়িতে নিয়ে কাগজে সই নেয় (আব্দুল সাত্তার হত)। পরে আমরা জানতে পারি এই কাগজ নিয়ে খতিয়ান সৃজন করা হয়। আমরা এখন অসহায়, হুমকি প্রদর্শন ও নিরাপত্তাহীনতায় আছি। এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
জানান স্থানীয় বাসিন্দা আবু তাদের ও মোঃ ইউনুছ বলেন, বসতবাড়ির জমি বাগান বাগিচা নিয়ে আব্দুর সাত্তার /সুফিয়া বেগমরা দীর্ঘ দিনের দখল করে আছে। কে নাকি লিখে নিছে এতে করে উনার স্বামী এখন এ বিষয়ে অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন।অভিযুক্ত মোঃ জাকের হোসেন মজুমদাার জানান, এটি আমার কেনা জায়গা, সব কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ক্রয় করেছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মামুন মেম্বার জানান, এ বিষয়ে আমি বিস্তারিত জানি না সাক্ষী হয়েছি মাত্র।
স্থানীয় ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল হোছাইন চৌধুরী বলেন, উভয় পক্ষই আমার কাছের মানুষ। এ বিষয়ে আমি শুনেছি। আমার কাছে অভিযোগ নিয়ে এখনও কেউ আসেনি। আসলে সুরাহার চেষ্টা করব।