গণমাধ্যম

গাইবান্ধায় সাংবাদিক পরিবারের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীরা মামলার পরেও হয়নি গ্রেফতার।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা জেলার দক্ষিণ ফলিয়া গ্রামে সাংবাদিক মোঃ মিঠু মিয়ার বাড়িতে ২৭ জুলাই ২০১৭ ইং তারিখে অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়।এসময় মিঠু মিয়ার বাবা মোঃ নুরু মিয়া গুরুতর আহত হয়।

এ বিষয়ে মিঠু মিয়ার বর্ণনা এবং মামলার এজাহার সূএে জানা যায়,আসামী ১.মোঃরমজান আলী (৪৫) নামে পিতা অজ্ঞাত ২/ মোঃ কানন মিয়া (২২) পিতা মোঃ রমজান আলী.৩.মোছাঃ কাছভান বেগম(৪০) স্বামী মোঃ রমজান আলী.৪.মোঃ ইদ্রিস আলী (৪৫) পিতা অজ্ঞাত .৫/ মোঃ তপো মিয়া (৪০) পিতা অজ্ঞাত.৬/ মোছাঃ আফরুজা বেগম (২০) স্বামী মোঃ কানন মিয়া. ৭/ মোছাঃ সস্পা বেগম (২৫).স্বামী মোঃআল আমিন মিয়া. সকলের সাং:দক্ষিণ ফলিয়া,জেলা গাইবান্ধা পারিবারিক বিষয় নিয়া দীর্ঘদিন হইতে শত্রুতা চলএ আসছে।২৭জুলাই ২০১৭ তারিখ মিঠু মিয়া, বিশ সমিতি হইতে ৪৮,০০০ হাজার টাকা লোন উওোলন করে এবং তার বড় ভগ্নিপতি মোঃ এনামুল হক গরু কেনার জন্য ৪০ হাজার টাকা দেয় মোট ৮৮,০০০ হাজার টাকা রাত্রি অনুমান ৮ ঘটিকার সময় তার ঘরে বিছানার তোষকের নিচে রাখে এবং গরু কিনবে বলে মনস্থির করে।

এমতাবস্থায় ৩০জুলাই ২০১৭ তারিখ রাএী অনুমান ১১টা৩০ ঘটিকার সময় আসামি রমজান হাতে ছোড়াসহ মিঠুর ঘরে প্রবেশ করে বিছানার নিচে থাকা ৮৮ হাজার টাকা চুরি করে হাতে নেয় ওই সময় মিঠুর পিতা বাড়ি হইতে ঘরে প্রবেশ করে ঘটনা দেখে আসামি রমজান আলীকে হাতেনাতে আটক করে তখন রমজান আলী ধাক্কাধাক্কি করে বাড়ির উঠানে বের হয়ে চিৎকার দেয় এবং ২ হইতে ৭ নং আসামিগণ হাতে লাঠি ছোড়া সহ এসে মিঠুর বাড়ির উঠানে প্রবেশ করে তার পিতাকে আক্রমণ করে মারপিট করে আসামি রমজান আলী, তার হাতে থাকা ধারালো ছোড়া দিয়ে ডান কব্জির নিচে আঘাত করে গুরুতর হাড়কাটা রক্তাক্ত জখম করে।আসামি কানন মিয়া তার হাতে থাকা ধারালো ছোড়া দিয়া হত্যার উদ্দেশ্য তার পিতার মাথায় কপালের উপরে চোট মেরে গুরুতর হাড় কাটা রক্তাক্ত জখম করে।

আসামি তপো মিয়া তাহার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়া তার পিতার ডান হাতে কনুইয়ে আঘাত করে মাংস কেটে শরীর থেকে ফেলে দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ঐ সময় মিঠু মিয়া ও তার গর্ভবর্তী স্ত্রী মোছাঃ কামিনী বেগম নুরু মিয়াকে উদ্ধার করার জন‍্য এগিয়ে গেলে আসামীগণ মিঠু মিয়া সহ তার স্ত্রীকে আক্রমণ করে মারপিট করে। আসামি আফরুজা বেগম লোহার খুন্তি দিয়ে মিঠুর পিঠে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।

আসামি কাছভান বেগম ইট দিয়ে কামিনী বেগম কে আঘাত করে এবং তার গলায় থাকা ছয় আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন মূল্য ১৫ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।মিঠু মিয়ার চিৎকার প্রতিবেশী সাক্ষী ১/ মোঃ মিজানুর রহমান পিতাঃ মোঃ মজিবর মাস্টার ২/মোহাম্মদ ফজলু মিয়া পিতাঃঅজ্ঞাত ৩ /মোছাঃআমিনা বেগম স্বামী মোঃ নুরু মিয়া (৪)মোছাঃ আজিরন বেগম স্বামীঃমৃত একেন আলীগন।

মামলার সময়কাল এতোদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও এখনো কোনো আসামী গ্রেফতার হয় নাই।তাই বাদী মিঠু মিয়ার দাবি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং এর দ্রুত বিচার কাজ সম্পন্ন করা হোক।

এই বিভাগের আরও খবর

Back to top button