গাইবান্ধা

৬০ বছরের বৃদ্ধের সঙ্গে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ের অ‌ভি‌যোগ

মোঃ মিঠু মিয়া গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ৬০ বছরের বৃদ্ধের সঙ্গে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের বেঙ্গুলিয়া গ্রা‌মের বেঙ্গু‌লিয়া বাজার এলাকায়।
বর আবুল কাশেম বেংগুলিয়া গ্রামের কেরু শেখের ছেলে এবং কনে একই গ্রামের চা দোকানী সবুর মিয়া ও মা‌জেদা বেগম দম্প‌ত্তির মেয়ে মামুনী আক্তার। মেয়েটি বেংগুলিয়া হাজ্বী আব্দুল গণি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রি।স‌রেজ‌মিন ঘু‌রেওই গ্রামের বাসিন্দা আবদুর রাজ্জাকসহ স্থানীয় অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃদ্ধ কাশেমের স্ত্রী রশিদা বেগমের কোন সন্তান নাই। সে কারণে তিনি দ্বিতীয় বার বিয়ের পিড়িতে বসেছেন। স্থানীয়দের একজন ব্যক্তি এক বা একাধিক বিয়ে করতেই পারেন কিন্তু ৬ষ্ঠ শ্রেণির একটি নাবালিকা মেয়েকে কখনোই বিয়ে করতে পারেন না। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। অসম এ বিয়ের জন্য পাত্র কনেকে সাড়ে ১৭ শতক জমিও লিখে দিয়েছেন বলে দাবি স্থানীয়দের।

এদিকে, কনের মা মাজেদা বেগম বলেন, আর্থিক ভাবে দুর্বল একটি পরিবারের পক্ষে একটি মেয়েকে মানুষ করা বা বিয়ে দেওয়া খুবই দুরহ ব্যাপার, এ কারণে মেয়ের বিয়েতে রাজি হ‌য়ে‌ছি এবং দুই বছর পরে তারা সংসার কর‌বে।অপর দিকে, আবুল কাশেমের প্রথম স্ত্রী রশিদা বেগম বলেন, স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন বলে শুনেছেন। এ বিয়েতে তিনি কোন অনুমতি দেননি বা তার অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে জানান।এ ব‌্যাপা‌রে বেঙ্গু‌লিয়া হাজী আব্দুল গ‌ণি উচ্চ বিদ‌্যাল‌য়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সোবাহান জানান, বিষয়‌টি অত‌্যন্ত দুঃখজনক। স্কুল বন্ধ থাকার সু‌যো‌গে মামনী আকতা‌রের বাবা মা তা‌কে বি‌য়ে দি‌য়ে‌ছেন।এ বিষ‌য়ে পলাশবাড়ী শিশু কানন প্রিক‌্যা‌ডেট এন্ড হাইস্কু‌লের প‌রিচালক রুহুল আ‌মিন ব‌লেন, এটা একবা‌রেই এক‌টি অমান‌বিক কাজ, এমন কাজ যারা ঘ‌টি‌য়ে‌ছেন তা‌দে‌কে আই‌নের আওতায় আনা প্রয়োজন।

এই বিভাগের আরও খবর

Back to top button