নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের পুরান বাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধার জমি নিয়ে মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে দখলের পাঁয়তারা করছেন তাঁরই চাচাতো ভাই।
১৫ মে বুধবার সরজমিনে গিয়ে জানা যায় চাঁদপুর সদর পুরান বাজার পশ্চিম জাফরাবাদ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা কালু খানের জমি মিথ্যা প্রচারণা মাধ্যমে বিএস করে জমি দখলের পাঁয়তারা করছেন মুক্তিযোদ্ধার চাচাতো ভাই আনোয়ার হোসেন খান ও হানিফ খান এবং দেলোয়ার হোসেন খান। এই জমি নিয়ে চাঁদপুর কোর্টে বিএস সংশোধনী মামলা দেয় মুক্তিযোদ্ধা সন্তান জাহিদ হোসেন খান। মামলা নাম্বার ১২৯/ ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে। অনেকবার সালিশি বসানোর চেষ্টা করেন মুক্তিযোদ্ধার পরিবারজন কিন্তু জমি প্রতারণা করে নেওয়া অপরাধী রক্তের লোকজন বিচার দরবার তোয়াক্কা করে না। গায়ের জোরে যখন যা ইচ্ছা তাই করে বেড়াচ্ছেন। আবার বিভিন্ন লোকদের কাছে বলে বেড়াচ্ছে যে, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে ধ্বংস করে দেবে। তাদের নিকট বিএস এর কোন প্রমাণপত্র নেই। বীর মুক্তিযোদ্ধা মহরম কালু খানের পিতার জমি আরএস এ, এবং এস এ খতিয়ানে মালিক। মুক্তিযোদ্ধার পরিবারজন সরকারের কাছে এবং চাঁদপুর ডিসি, এসপির নিকট বিনীতভাবে আবেদন জানচ্ছেন যে, তাদের জমিটা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য। বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারজন সেই জমিতে দখলে আছেন এবং মুক্তিযোদ্ধার চাচাতো ভাইয়েরাও দখলে। বিএস নিয়ে আজও ২০১৮ সাল থেকে মামলা চলছে চাঁদপুর কোটে। বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম কালু খানের পিতা আঃ ছাত্তার খান দুই পুত্র ও দুই কর্নাকে রেখে পরলোক গমন করেন। সেই সূত্রে সাড়ে ছয় শতক জমির মালিক কালু খান ও কুদ্দুস খান এবং দুই কন্যা সুফিয়া বেগম ও রাবেয়া বেগম। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের এই জমি ছাড়া আর কোন জমি নেই। ২০০৮সালে চাঁদপুর পুরান বাজারে নদী ভাঙ্গতি অবস্থায় তাদের জমি নদী গর্ভে তলিয়ে যায়। তারপর পৈত্রিক সম্প্রতি হিসাবে তারা এ জমিতে ঘরবাড়ি নির্মাণ করেন, পরে দেখতে পায় যে, কাগজপত্র তোলার পর মুক্তিযোদ্ধা কালু খানের চাচাতো ভাইয়ের নামে বিএস করা। বিএস সংশোধন করে দেওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধা চাচাতো ভাইদের সাথে পরামর্শ করিলে তারা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সাথে খুব খারাপ আচরণ করে। বীর মুক্তিযোদ্ধা কালু খান তার ছোট ছোট ছেলে মেয়ে রেখে ১৯৮৭সালে ১লা জানুয়ারি মাসে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। মুক্তিযোদ্ধার চাচাতো ভাইয়েরা সেই সুযোগে ১৩শতক জমি নিজেদের নামে বিএস করে নিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন লোকজনের কাছে বলে যাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধার পিতা আঃ ছাত্তার খা জমি বিলে বিক্রি করে গেছে ২০০টাকা বিনিময়। কিন্তু তাদের কাছে সেই ডকুমেন্ট নেই। আমরা বিভিন্ন লোকজনের মারফতে তথ্য নিয়ে দেখি তারা ভুয়া বিএস করছে। এই ভুয়া বিএস সংশোধনের জন্য চাঁদপুর কোর্টে মামলা চলমান আছে। মুক্তিযোদ্ধার ছোট ভাই আব্দুস কুদ্দুস খান একজন সহজ সরল মানুষ নূন আনতে পান্তা ফুরায়। এই পরিবারের। তাই তাদের অবস্থা আর্থিকভাবে ভালো না বলে, তারা এ অসহায় পরিবারের উপর জুলুম অত্যাচার করে যাচ্ছে প্রায় অনেক বছর যাবত। মুক্তিযোদ্ধা পরিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও উচ্চতর মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের নিকট এই পরিবারটাকে সঠিক সুস্থ বিচার পাওয়ার জন্য চাঁদপুর জেলাবাসীর কাছে এই কামনা করেন।