চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়ন একটি শান্তিপূর্ন ইউনিয়ন হিসেবে শহরজুড়ে সুনাম থাকলেও এখন সেই এলাকার শান্তি কেড়ে নিচ্ছে কিশোর গ্যাংরা। তেমনি কিশোর গ্যাং এর একজন অন্যতম নেতা হল উত্তর মৈশাদী’র ২নং ওয়ার্ড ডাক্তার বাড়ির মাছুম ডাক্তার এর ছেলে মাদকাসক্ত সবুজ ডাক্তার। কিশোর গ্যাং এর সরর্দার এই সবুজ ডাক্তারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী। তার অত্যাচার ও নির্যাতন থেকে এলাকার মানুষ আজ মুক্তি চায়, একটু শান্তিতে নিঃশ্বাস নিতে চায়। হোক না সে বৃদ্ধ পুরুষ অথবা মহিলা বা তার থেকে বয়সে ছোট, বড় বা সম বয়সী কেউ তার নির্যাতন নিপিড়ন থেকে রক্ষা পায়নি। কথা কথায় গায়ে হাত, মারামারি, কোপাকুপি, ভাংচুর করতে পটু সে। কারো সাথে বেজে গেলে তার তাকে দা, চেনি সহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে মারামারি করতে ছুটে আসে কিশোর গ্যাং এর অন্যান সদস্যরা। বিভিন্ন জায়গায় কোপাকুপি, মারামারি, মানুষের ঘড় বাড়ি ভাংচুর এখন তা তার নিত্য দিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন দুই তিনটি গ্যাঞ্জাম না করে সে থাকতে পারে না। মানুষের সাথে গায়ে পড়ে গেঞ্জাম করা তার নিত্যদিনের রুটিন। তার বিরুদ্ধে থানা ও কোর্টে একাধিক মামলা থাকলেও সে জামিনে এসে তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
ঐ বাড়ির সাইফুল ডাক্তারের স্ত্রী আয়েশা বেগম বলেন সবুজ ডাক্তার ও হাছান ডাক্তার তারা দুই ভাই সন্ত্রাস। তারা আমাদের সাথেও গায়ে পড়ে ঝগড়া করেছে। তার অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। আমরা ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে তার বিরুদ্ধে ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেই। পুলিশ তাকে বহুবার ধরে নিয়ে গেলেও আবার এসেছে একই কাজ করে। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা চাই, এই ঘাতকের কবল থেকে আমাদেরকে রক্ষা করুক।
সবুজের জেটা ছারু ডাক্তার বলেন সবুজ ও তার ভাই হাছানের অত্যাচার ও জলুমে আমার পরিবার আজ দিশেহারা। আমি তার জেটা সে আমাকে আমার স্ত্রী মুক্তি যোদ্ধার সন্তান, আমার মেয়েদেকে বহু বার মারধোর ঘরবাড়ি ভাংচুর করেছে। কথায় কথায় গায়ে পড়ে আমাদেরকে মারধোর করে। আমি একজন অসুস্থ মানুষ। আমি তার বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি, চেয়ারম্যানের কাছেও অভিযোগ করেছি সে কারো কথা মানে না। গত ৪ এপ্রিল বৃহস্পতিবার ইফাতরের পরপর ৬:৩০ ঘটিকায় টিউবওয়েল কে কেন্দ্র করে আমাকে আমার স্ত্রী, মেয়ে বৃথীকে অনেক মেরেছে। আমার ঘরবাড়ি ভাংচুর করেছে। যদি আমি কোন মামলা করি তাহলে আমাদেরকে মেরে পেলবে বলছে। এখন আমাদের প্রশাসনের সহযোগিতা প্রয়োজন। প্রশাসন যেন তদন্ত পূর্বক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করে।
এই দিকে এলাকার লোকজন জানান সবুজ ডাক্তার, হাছান ডাক্তার এদের অত্যাচার থেকে আমাদের সমাজকে রক্ষা করতে হবে। তাদের আতঙ্কে মানুষ আজ দিশেহারা। তাদেরকে দ্রুত আইনের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হোক বলে দাবি এলাকাবাসীর।