মোঃ মিঠু মিয়া গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ দরবস্ত ইউনিয়নের
গোসাইপুর জবা অপরিকল্পিত গুচ্ছগ্রাম চাহেনা এলাকাবাসী। কাটাখালী নদী থেকে বালু উত্তোলন করে গুচ্ছগ্রাম ভরাট চলছে ।। এলাকাবাসীর প্রতিবাদ
সরজমিন প্রতিবেদন গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্থ ইউনিয়নের গোসাইপুর গ্রামে অপরিকল্পিত ও ভুয়া তথ্য দিয়ে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণের জন্য করতোয়া -কাটাখালী নদী থেকে জোরজার মেশিন দিয়ে গভীর খাদের সৃষ্টি করে দশ দিন যাবত বালু উত্তোলন চলছে। এলাকাবাসী প্রতিবাদ করায় প্রভাবশালী ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তি তাদের কে হুমকি দিয়েছে বলে সর জমিনে জানা গেছে। তিন ফসলি কৃষি খাস আবাদি জমির কে পতিত দেখিয়ে এবং তথ্য গোপন করে প্রশাসনের দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিগণ ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে গোসাইপুর জবা গুচ্ছগ্রাম অনুমোদন নিয়ে জোরপূর্বক চাষাবাদকৃত ফসল কে নষ্ট করে গুচ্ছগ্রাম করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে বলে এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার গুলির আহাজারি।।যেখানে গুচ্ছগ্রাম করা হওয়ার করার জন্য কি কৃষকের চাষাবাদ যোগ্য খাস জমি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ।সেখানে কোন প্রকার যাতায়াতের কোন ব্যবস্থা নেই এবং গুচ্ছগ্রাম করার অনুপযোগী স্থান। যে স্থানে চাষাবাদ যোগ্য ৩/৪ ফসলি জমি নষ্ট করে কাটাখালী নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন করে ভরাট করছে।অপরদিকে দরবস্তু ইউনিয়নের গোসাইপুর মৌজার কাটাখালি করতোয়া নদী থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে প্রকাশ্যে অবাদে দম্ভের সহিত বালু উত্তোলন করা হলেও প্রশাসন সেই বালু উত্তোলন বন্ধ না করে নাকের ডগায় তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের রংপুর আঞ্চলিক প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু শাআদতকে মুঠোফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বিভিন্ন তালবাহানা মূলক বক্তব্য দেন। সেইসঙ্গে তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসন তথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বিষয়টি দেখবেন। আমাদের প্রতিনিধি গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জনাব জিন্দার আলী কে বারবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।।এলাকাবাসী আরো জানান তাদের তিন ফসলী খাস জমি ফসলসহ কেড়ে নিয়ে নষ্ট করা হচ্ছে।গোসাইপুর জবা গ্রাম বাস্তবায়ন করা হলে সরকারের শুধু অর্থই নয় খরচ হবে গুচ্ছগ্রাম ও আস্থন পরিকল্পের লক্ষ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে না বলে সর্বস্তরের এলাকাবাসীর অভিমত।।ভূগর্ভস্থ নদী থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ থাকলেও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে কাটাখালী নদী থেকে গুচ্ছগ্রামে বালু তুলছেন বলেও বালু উত্তোলনের কারী ও এলাকাবাসী বক্তব্য দিয়েছেন।। যাহা ভিডিও ধারণ রয়েছে।।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোবিন্দগঞ্জ জনাব রাসেল মিয়াকে ফোন দিও পাওয়া যায়নি।এলাকাবাসীর অভিযোগ গোসাইপুর গ্রামে অপরিকল্পিত পার্শ্ববর্তী আরেকটি গুচ্ছগ্রাম রয়েছে যেখানে নামমাত্র কয়েকজন থাকে। তারা আরো বলেন ,সেখানে সন্ধ্যার পর শুধু অসামাজিক কার্যকলাপ চলে।গোসাইপুর জবা গুচ্ছগ্রাম জনগণের কোন উপকারে আসবে না বলে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী এই প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন।
সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করে যদি জনগণের কল্যাণে না আসে এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকার সর্বস্তরের জনগণ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান গৃহীনের বাসস্থান নিশ্চিত করা।
আর এই গোছাইপুর জবা গুচ্ছগ্রামে যদি ছিন্নমূল ,বাস্ত হারা, নদীভাঙ্গা গৃহহীন মানুষ নাই থাকতে পারে – পুনর্বাসন না হয়।সেখানে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গুচ্ছগ্রাম করে জনগণের কোন সুফল বয়ে আসবেনা বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে সরজমিনে চিত্র বিদ্যমান।
সেই সঙ্গে করতোয়া- কাটা খালী নদী থেকে গোসাইপুর মৌজায় গভীরখাদের সৃষ্টি করে ড্রেজার মেশিন বসানো হয়েছে তা অনতিবিলম্বে জব্দ করার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।।