যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন উত্তর কোরিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কিম জং চল। সফরে ১২ জুন সিঙ্গাপুরে দুই দেশের সম্ভাব্য অনুষ্ঠেয় বৈঠক নিয়ে আলোচনা করছেন তিনি।
বুধবার (৩০ মে) উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের ব্যক্তিগত সহকারী এবং ক্ষমতাসীন ওয়ার্কাস পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে বেইজিংয়ের ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের জনএফ কেনেডি বিমানবন্দরে পৌঁছেন কিম জং চল। এরপর তিনি নিউইয়র্কের ম্যানহাটন শহরের একটি হোটেলে অবস্থান নেন।
এরপর ওইদিনই সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুরের সম্ভাব্য বৈঠকটি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেও এর সঙ্গে আলোচনায় বসেন কিম জং উনের বিশ্বস্ত এ কর্মকর্তা। তবে বৃহস্পতিবারও (৩১ মে) তাদের মধ্যে ফের বৈঠক আলোচনার কথা রয়েছে।
১২ জুন যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে বৈঠক নির্ধারিত ছিল। কিন্তু কুটনৈতিক কারণে গত সপ্তাহে এটি বাতিল করে দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে আবার সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনা করেন ট্রাম্প। এর প্রেক্ষিতে বৈঠকটি হওয়ার সম্ভাব্যতা দেখা দেয়।
এদিকে, এ দুই দেশের কর্মকর্তারা প্রথমবারের মতো মিলিত হয়েছেন সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে। এর আগে ২০০০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন উত্তর কোরিয়ার জো মং রক।
স্বরাষ্ট্র সচিব পম্পেও টুইটে বলেছেন, আলোচনায় উত্তর কোরিয়ার পেনিনসুলার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পূর্ণাঙ্গ প্রমাণ সাপেক্ষতার বিষয়ে আগের অবস্থানেই থাকবে যুক্তরাষ্ট্র।
ট্রাম্প বলেছেন, উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক মিসাইল উন্নতীকরণে যুক্তরাষ্ট্র অনুমতি দেবে না। কারণ মিসাইল শক্তিসম্পন্ন উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে আঘাত করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক শক্তিহীন দেখতে চায়।
উত্তর কোরিয়ার এক কর্মকর্তা বলছেন, সম্ভাব্য বৈঠক নিয়ে বৃহস্পতিবারের আলোচনায় পারমাণবিক কেন্দ্র ধ্বংসের প্রতিশ্রুতির কথা জানাবে উত্তর কোরিয়া। সেইসঙ্গে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ব্যাপারেও আলোচনা করা হবে।