গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশ থেকে বিএনপি সন্ত্রাসীদের জড়ো করছে বলে অভিযোগ করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ।
দলের নেতাদের অভিযোগ, সরকারি সম্পদ ধংস এবং আগুনে মানুষ পুড়িয়ে নাশকতা মামলার দাগী অপরাধীদের সারাদেশ থেকে এনে গাজীপুরে জড়ো করছে বিএনপি।
এই অবস্থায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে অভিলম্বে এসব সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগের নেতারা।
বুধবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব কথা বলেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ডক্টর হাছান মাহমুদ।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বিএনপি প্রার্থীদের প্রচারে বাধা দেয়াসহ নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করা হয়।
নানক বলেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা স্থানীয় জনগণের জন্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। গাজীপুরের সেই প্রতিষ্ঠানে বিএনপির মেয়র নির্বাচিত হয়ে বিএনপির রাজনীতির কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রস্থল হিসেবে ব্যবহার করেছে। ওই এলাকার মানুষ সেবা পায়নি। তাই গাজীপুরের জনগণ বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি তারা বিএনপির এসব কর্মকাণ্ড আর দেখতে চায় না।
ভরাডুবি জেনে বিএনপি অপরাজনীতির পথ বেছে নিয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, আমরা দেশবাসীকে বলতে চাই বিএনপির শাসন মানে লুটপাট, সন্ত্রাস ও দুর্নীতির অবসান। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে হাওয়া ভবন সৃষ্টি করে যে সন্ত্রাস দুর্নীতি ও অপরাজনীতি করেছে এর জন্য দেশের মানুষ তাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
‘বিএনপি তাদের নিশ্চিত ভরাডুবির আভাস পেয়ে অপরাজনীতির পথ বেছে নিয়েছে। আমরা এই অপরাজনীতির তীব্র নিন্দা জানাই।’
হাছান মাহমুদ বলেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভরাডুবির ভয়ে নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে অযথাই নানা অভিযোগ করছে বিএনপি। বিএনপি হতাশাগ্রস্থ অবস্থা থেকে আবোল-তাবোল বকছে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।