রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। বিরোধপূর্ণ জমিতে আদালত থেকে শান্তিপূর্ণ বজায় রাখতে ৪৪ধারা জারি করলেও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি দিলীপ কুমার সরকার তপন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী হুমায়ন কবির তা তোয়াক্কা না করে জমি দখল করেন। আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় তাদের বিরুদ্ধে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করে আগামী ১ নভেম্বর কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন আদালত।
একাধিকবার সরকারি বরাদ্দে প্রয়াত শ্রেষ্ঠ শিক্ষক বাবু রাখাল চন্দ্র দাসের স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। উপজেলার বাকশিমইল মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শে এ ঘটনা ঘটে রয়েছে। এ বিষয়ে মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে রেজাউল করিম বাবু, রফিকুল ইসলাম ডাবলু দিং বাদী হয়ে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলা সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-৯৮/২০২৩ ইং মামলার সূত্রে জানা যায়, সাবেক তানোর থানা হাল মোহনপুর থানার বাকশিমইল মৌজার সি.এস-২০৪ এস এ-৩৪০ আর এস খতিয়ান নং-১ সাবেক দাগ ১৪৮ হাল দাগ -১৫৭ জমি পরিমান-.১৯একরের কাত.০৭২৫ একর সম্পত্তির মধ্যে মালিক ছিলেন ইজুকুল্লাহ প্রাং আট আনা ও জিনুল্লাহ প্রাং সম্পত্তি ভোগ দখল করা অবস্থায় মারা গেলে তাহার ২ ছেলে মিছুরুল্লাহ প্রাং শুকুরুল্লাহ প্রত্যেকে ওয়ারিশ হন । মিছুরুল্লাহ মৃত পরে তাঁর ছেলে ইসমাইল হোসেন মালিক হন। ইসমাইল মারা গেলে ওয়ারিস সূত্রে বাদীগণ মালিক হন। রেজাউল করিম দিং চেয়ারম্যানসহ ছয়জনকে বিবাদী করে রাজশাহীর মোহনপুর সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন।
রফিকুল ইসলাম ডাবলু মোহনপুর সহকারী জজ আদালতে মামলা ১৩৭/২০০৭ অঃপ্রঃ(বাটোয়ারা) প্রেক্ষেতে আদালত ২৫/০৬/২০১৫ ইং তারিখে রায় এবং৩০/০৬/২০১৫ ডিগ্রী প্রদান করেন বাদী পক্ষে। উপজেলা চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস সালাম তাঁর আপন শ্যালক রাজশাহী-৫৪, পবা-মোহনপুর-৩ আসনের এমপি আয়েন উদ্দিনের ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে প্রভাব বিস্তার করে জমি দখল করেন। এছাড়াও তার নেতৃত্বে স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
বাদী রফিকুল ইসলাম ডাবলু বলেন, যে কেউ আমাদের জমি বাজার মূল্যে ক্রয় বা অধিগ্রহন করে স্থাপনা স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করলে আমাদের কোন আপত্তি থাকবে না।মোহনপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের সাথে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।