মোঃ আলাউদ্দীন মন্ডল রাজশাহীঃ
১৫ আগস্ট ২০২৩ ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন এবং বাদ ফজর লক্ষীপুর ভাটাপাড়া ফারুকিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীর দ্বারা কোরআনখানির মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী । সকাল ১০.০০ টায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে শাহাদতবরণকারী বঙ্গমাতাসহ তাঁর পরিবারের অন্য শহিদ সদস্যদের সম্মানার্থে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে সকাল ১০.৩০ টায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মোঃ আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে “জাতীয় শোক দিবস-২০২৩” উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী’র চেয়ারম্যান প্রফেসর মোঃ কামরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী’র সচিব জনাব মোঃ হুমায়ূন কবীর, বিদ্যালয় পরিদর্শক জনাব মহাঃ জিয়াউল হক, উপ-পরিচালক (হিসাব ও নিরীক্ষা) জনাব মোঃ বাদশা হোসেন, সিনিয়র সিষ্টেম এনালিষ্ট প্রকৌশলী মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড কর্মচারী ফেডারেশনের মহাসচিব ও রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি জনাব মোহাঃ হুমায়ূন কবীর।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মোঃ আরিফুল ইসলাম। এরপর বক্তব্য রাখেন হিসাব রক্ষণ অফিসার (দায়িত্বপ্রাপ্ত) হোসনে আরা আরজু, সহ-হিসাব রক্ষণ অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, উপ-বিদ্যালয় পরিদর্শক (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোঃ ফরিদ হাসান, বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড কর্মচারী ফেডারেশনের মহাসচিব ও রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি জনাব মোহাঃ হুমায়ূন কবীর, সিনিয়র সিষ্টেম এনালিষ্ট প্রকৌশলী মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, বিদ্যালয় পরিদর্শক মহাঃ জিয়াউল হক এবং সচিব জনাব মোঃ হুমায়ূন কবীর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর মোঃ কামরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা দিক নিয়ে আলোকপাত করে বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন রাজনৈতিক দার্শনিক। তিনি গভীর শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতাসহ ১৫ আগস্টে শাহাদতবরণকারীদের স্মরণ করেন। তিনি বলেন, শোককে আমাদেরকে শক্তিতে পরিণত করতে হবে যেমন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এতো শোকের পরেও সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন- বাংলাদেশকে একটি উন্নত, অসম্প্রদায়িক, আধুনিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়াস যেন কোনোভাবেই ব্যহত না হয়- সেই লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে কাজ করে যেতে হবে।
এরপর দুপুর ১.৪৫ টায় রাজশাহী মহিষবাথান গোরস্থান সংলগ্ন লক্ষীপুর ভাটাপাড়া ফারুকিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসার এতিম ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাঝে দুপুরের খাবার বিতরণ করা হয়। বাদ আসর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মসজিদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ শাহাদতবরণকারী শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও তবারক বিতরণ করা হয়।
আলোচনা সভার সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্বপালন করেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের প্রধান মূল্যায়ন অফিসার (চলতি দায়িত্ব) জনাব এস.এম. গোলাম আজম।