মোঃ আশরাফুল হোসাইন বুরো খুলনাঃ
রবিবার (২৪শে সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এলাকায় মাসুল ধারে বৃষ্টি শুরু হয়। আজ দুপুরে হঠাৎ করে বৃষ্টির সাথে শুরু হয় হাকিমপুর, বিরামপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলার কিছু এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ে শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।হাকিমপুর হিলির সাঁতকুড়ি, মংলা ও মাহলীপাড়ায় ঘূর্ণিঝড়ে বসত বাড়ির ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিরামপুরের দিওড় ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া এলাকায় সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘরের ছাউনি ঝড়ে লন্ড ভন্ড হয়ে যায়। নবাবগঞ্জের সীতা কোট এলাকায় বসত বাড়ির ছাউনি ঝড়ে উড়িয়ে যায়। গত কয়েক দিন থেকেই এ এলাকায় থেমে থেমে বৃষ্টি হতে থাকে।
আর এতে বেশি বিপাকে পড়েছে নিন্ম আয়ের মানুষ। প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বাহির হতে চাচ্ছে না। মসুলধারে ভারী বর্ষণ ও ঝড়ো হওয়া শুরু হয়ায় বৈদ্যুতিক সংযোগের বেশ কিছু পোল ভেঙ্গে যায় ও উপড়ে পড়ে এবং বিদ্যুৎ সংযোগের তার বিভিন্ন ফসলের জমি উপর ও রাস্তায় পড়ে থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ সাময়িকভাবে বন্ধ রাখেন পল্লী বিদ্যুতের দায়িত্ব রত কর্মীগণ। বৃষ্টি ও ঝরের কারণে বাড়ি, দোকান ঘর ,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উপর গাছের ডালপালা ভেঙ্গে ও উপড়ে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের লোকজনের বাড়িঘর থেকেও না থাকা এবং তারা খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। খাবার এর চাল ডাল থেকেও তারা ক্ষুধার্ত বৃষ্টিতে ভিজার কারণে হয়ে পড়ছে অসুস্থ। কষ্ট করে মিলছে মানুষের খাবার মিলানো যাচ্ছে না গবাদি পশুর খাবার।
হাকিমপুর উপজেলার খট্রামাধবপাড়া ইউনিয়ের চেয়ারম্যান কাওসার রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নের সাঁতকুড়ি ও মংলা মাহলীপাড়ায় ১৬টি পরিবার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিত রায় সরজমিনে দেখেছেন এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনদের সাথে কথা সরকারি সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত খবর পেয়ে ঢাকায় অবস্থানরত দিনাজপুর-৬ আসনের সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক এমপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইফ এ আসেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করে জেলা প্রশাসক এর সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
এছাড়াও নিজ তহবিল থেকে প্রতিটি পরিবারকে ৫০০০ টাকা, সরকারি এক বান্ডিল ঢেউটিন, সরকারি ৩০০ টাকা, কিছু চাল, রান্না করা খাবার ও শুকনো খাবার এর ব্যবস্থা করে দেন। সেই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন এমপি শিবলী সাদিক।