লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ
লক্ষীপুরের রায়পুর উপজেলার হায়দারগঞ্জ বাজারে ৩১ আগষ্ট বৃস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে, বিকাশ ফ্লেক্সি লোডের ব্যবসায়ী সৌরভ এর মোবাইলের দোকানে ডুকিয়ে,পাওনা টাকা চাওয়া কে কেন্দ্র করে কসাই সালাউদ্দিনকে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করেন একই এলাকার সৌরভ সর্দার জলিল,আব্দুর রব, খায়ের সহ ৭/৮ জন।
হায়দারগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশের সহযোগিতায় আহত সালাউদ্দিনকে উদ্ধার করে রায়পুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, গরু বিক্রির বকেয়া পাওনা টাকা চাওয়া কে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটে।
আহত সালাউদ্দিন গনমাধ্যামে জানান, সৌরভ সর্দার গংরা গতকাল আমাকে রাতে দোকানের সাটার বন্ধ করে বেদম মারধর করে,আমার পকেটে থাকা গুরু বিক্রির ১ লাখ ৫০ হাজার ও একটি মোবাইল এবং খালি স্টাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর রাখে পরে সেখান থেকে তুলে নিয়ে হত্যার উদ্দ্যশে আমাকে মেঘনা নদীর পাড়ে নিয়ে যায়,আমি চিৎকার দিলে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তাহারা পালিয়ে যায়।সরেজমিনে গেলে ইউপি সদস্য হাসানুজ্জামান ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দোকানী ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে ভিকটিম আরো বলেন জলিল সহ এই গ্রুপের সাত আট জন ক্ষমতার দাপটে অনেকের কাছ থেকে চুক্তিতে টাকার বিনিময়ে মানুষের কাছ থেকে জোরপূর্বক মুক্তিপন আদায় করেন, এ বিষয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে সৌরভ সর্দার বলেন, সালাউদ্দিন গরিব কৃষকের টাকা না দিয়ে পালিয়ে গেছে,গত দু’দিন আগে তাকে পেয়েছি এবং কৃষকের টাকা দিতে চাপ সৃস্টি করেছি,এই ব্যপারে মেম্বারসহ একাধিক বৈঠক হয়েছে সেই কোনো অবস্থা কৃষকের পাওনা দিবে না বলে জানায় সেটা কেন্দ্র করে হাতাহাতি হয়,সেখান থেকে,আমি তাকে মেম্বার ফারুক সর্দারের কাছে নিয়ে যাই
প্যানেল চেয়ারম্যান ফারুকুজমান এরসাথে যোগাযোগ করলে, তিনি বলেন,দু’পক্ষের কেউই আমার কথা না শুনায় আমি চলে আসি। ঘটনার সময় আমি ছিলাম না
তবে তাদের ৭ মাস আগের একটা টাকা লেনদেনর একটা স্টাম্প ছিলো
আমি স্টাম্প সৌরভকে দিয়ে দিই।
হায়দরগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই এনায়েত জানান,উভয় পক্ষ আমার কাছে এসেছে আহতকে চিকিৎসা নিতে বলি অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।