বগুড়ায় শিবগঞ্জে ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ভাতা কার্ড বাবদ টাকা নিয়ে জালিয়াতি।
বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ১১ নং ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান মোছা: ফাহিমা বেগম একাধিক ব্যক্তির থেকে ভাতা কার্ড বাবদ টাকা নিয়ে কার্ড না করে দেওয়ার মৌখিক অভিযোগ পাওয়া যায়। মৌখিক অভিযোগ সূত্রে জানা যায় শংকরপুর গ্রামের হরিজন সম্প্রদায়/ব্যক্তি যারা ঝাড়ু দেওয়া থেকে শুরু করে নিম্ন পর্যায়ের কাজগুলো করে থাকেন, তাদেরকে সরকারি ভাতা কার্ড দিয়ে থাকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে, কিন্তু সেই কার্ড বাবদ শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ১১ নং ইউনিয়নের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান, মোছা: ফাহিমা বেগম বিভিন্ন অংকের টাকা সরকারি খরচ বাবদ তাদের কাছ থেকে নেয়, শুধু তাই নয় আরও খোঁজ নিয়ে জানা যায় এই ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান মোছা: ফাহিমা বেগম একাধিক ব্যক্তির থেকে ভিন্ন ভিন্ন অংকের টাকা নিয়ে কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে সাধারণ অসহায় ব্যক্তিদের ভোগান্তি ও হয়রানির শিকার করিতেছে। তাকে ভাতা কার্ড বাবদ টাকা দেওয়ার পরেও মোকামতলা ১১ নং ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে অসহায় মানুষগুলো ঘুরে শুধু আশ্বাসী পেয়েছেন, কিন্তু কার্ড এখন পর্যন্ত পাননি। এতে করে আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি করেছেন তিনি সাধারণ খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের মধ্যে। এ নিয়ে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা তাকে মোকামতলা ১১ নং ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে ঐ ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান মোছা: ফাহিমা বেগম কে বলেন, তিনি যেনো ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে ভুক্তভোগীদের টাকা ফেরত দিয়ে দেন। তারপরও এই অসহায় ব্যক্তিদের টাকা ফেরত দেয়নি শিবগঞ্জ উপজেলার মোকামতলা ১১নং ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান মোছা: ফাইমা বেগম, নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান যে অসহায় ব্যক্তিদের থেকে টাকা নিয়ে কার্ড করে দেওয়ার কথা ছিলো। এদের টাকা কি আদৌ ফেরত দিবে প্যানেল চেয়ারম্যান মোছা: ফাহিমা বেগম, নাকি কার্ড দিয়ে সাধারণ মানুষের হয়রানি মুক্ত করবে। এই বিষয়ে হরিজন সম্প্রদায়ের গোলাপ নামের একজন ব্যক্তির থেকে তথ্য নিয়ে দৈনিক দেশের কণ্ঠ পত্রিকার শিবগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি রিপন তার নিজস্ব ফেসবুকে তথ্য তুলে ধরলে এই ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান মোছা: ফাহিমা বেগম, হরিজন সম্প্রদায়ের গোলাপ নামের সেই ব্যক্তিকে তার ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে ডেকে নিয়ে আরেকটি ভিডিও ধারণ করে নেয়, ভিডিওটি এমন ভাবে করে নেয় যাতে ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান মোছা: ফাহিমা বেগম এর উপর কোন প্রকার দায়ভার কেউ না দিতে পারে। এবং সেই সাথে দৈনিক দেশের কণ্ঠ পত্রিকার শিবগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধিকে একাধিক বার হুমকি পর্যন্ত দিয়ে বলে, সে যেন তার ফেসবুক আইডি থেকে হরিজন সম্প্রদায়ের একজন ব্যক্তি গোলাপের কাছ থেকে স্বীকারোক্তি ও তথ্য গুলো ফেসবুক থেকে ডিলিট করে দেয়। দৈনিক দেশের কন্ঠ পত্রিকার শিবগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি রিপন তার ফেসবুক আইডিতে প্রকাশিত তথ্যগুলো ডিলিট করতে না চাইলে, তাকে মামলা দেওয়ার হুমকি ও দেয় এই ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান মোছা: ফাহিমা বেগম। এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্যানেল চেয়ারম্যান মোছা: ফাহিমা বেগমকে একাধিক বার ফোন রিসিভ করেননি এর কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।