গাইবান্ধা

সন্ত্রাসী হামলা মারপিটে গুরুতর আহত শহিদুল বিচারে চেয়ে সংবাদ সম্মেলন।

মোঃ মিঠু মিয়া গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধা সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত আমজাদ হোসেনের ছোট ছেলে শহিদুল ইসলাম বড় দুই ভাই শফি মন্ডল,ও সবুজ মন্ডল,নিকট পৈত্রিক জমির অংশ বুঝে চাইলে শফি ও সবুজ শহিদুলের উপর চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয় এবং হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার পাইপ ও রট দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। এতে শহিদুলের ডানহাতসহ পাঁজরের হাড় ও অন্যান্য অঙ্গপ্রতঙ্গের হাড় ভেঙে গুরুতর আহত হয়। পরে এলাকার লোকজন আহত শহিদুলকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে এনে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করায়। সেখানে শহিদুলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। এদিকে বড় দুই ভাই শফি ও সবুজ আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন মহলে মামলা থেকে বাঁচার স্বার্থে আশ্রয় নিয়ে আপোষ-মিমাংসার কথা বলে কালক্ষেপণ করে। অপরদিকে আহত শহিদুল দীর্ঘ একমাস পর চিকিৎসা শেষে তুলসীঘাট লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাড়িতে আসলে বড় ভাইয়া তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। শহিদুল নিজ বাড়িতে আশ্রয় না পেয়ে গাইবান্ধা জেলা শহরের সুন্দরজাহান মোড় এলাকার নিজ বড় বোন চম্পা বেগমের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। অন্যদিকে শহিদুলের মাতা শামছুন্নাহার বড় পুত্র শফি মন্ডল,ও সবুজ মন্ডল, বেআইনী কার্যকলাপ, অন্যায়-অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আহত ছোট ছেলে শহিদুল ইসলামকে নিয়ে ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় গত ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ সুন্দরজাহান মোড়ে চম্পা বেগমের বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে শহিদুলের মা ও শহিদুল সন্ত্রাসী শফি মন্ডল, ও সবুজ মন্ডল, দৃষ্টামূলক শান্তি দাবি করে।
উল্লেখ্য যে, শহিদুল ঢাকায় লেবারি করে। মাঝে মধ্যে মাকে দেখার জন্য বাড়িতে আসে। চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করতে গিয়ে শহিদুল এখন নিঃস্ব। রংপুরে চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মতো খরচ হয়েছে। পরিপূর্ণ সুস্থ হতে আরও অনেক টাকার প্রয়োজন। জেলা প্রশাসকের কাছে সুস্থ তদন্তের দাবী জানাচ্ছেন ভুক্তভোগী শহিদুল

এই বিভাগের আরও খবর

Back to top button