নাজমুল হাসান বিশেষ প্রতিনিধিঃ
গত ১৭ই ডিসেম্বর বগুড়া সদর উপজেলার মাটিডালি বিমান মোড়স্থ সানসাইন আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার বিপুল মিয়া (৪২), নামে এক ব্যক্তিকে দুর্বৃত্ত ধারালো চাকু দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে হোটেলের স্টাফ ও স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ভিকটিমকে টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনিত হওয়ার ভিকটিমকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং চিকিৎসা চলাকালীন রাতি সাড়ে ৯ টার দিকে ভিকটিম মারা যায়। এতে বগুড়াসহ সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। হত্যার পর থেকেই র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া হত্যার কারণ অনুসন্ধান এবং হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের আওতায় আনার প্রয়াস চালাতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার (২২ই ডিসেম্বর) দুপুরে র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া ও র্যাব-৫, জয়পুরহাট এর একটি দল নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলা বামনপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর বিপুল হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী মোঃ আলিফ শেখ (২৪), পিতাঃ মোঃ রতন শেখ, বগুড়া শহরের নিশিন্দারা মধ্যপাড়ার আলিফ শেখকে ৭২ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামী আলিফ হত্যার দায় স্বীকার করে জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আলিফ ও ভিকটিম বিপুল একই হোটেলে (সানসাইন আবাসিক) চাকুরী করতো। প্রায় দুই আড়াই বছর বা তারও আগে যেকোন কারণে গ্রেফতারকৃত আলিফ চাকুরীচ্যুত হয়। তখন থেকেই তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়। গ্রেফতারকৃত আলিফের ধারণা ছিল, ভিকটিম বিপুলের জন্যই সে চাকুরী হারিয়েছে। চাকুরীচ্যুত হওয়ার পর থেকেই গ্রেফতারকৃত আলিফ ভিকটিম বিপুলের নিকট থেকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করতো। মাসে দুই হাজার টাকা করে ভিকটিম বিপুল চাঁদা দিতো বলেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আলিফ জানিয়েছে। ঘটনার দিন, গ্রেফতারকৃত আলিফ ভিকটিম বিপুলের নিকট চাঁদা নিতে এসেছিল, বিপুল চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আলিফ রাগান্বিত হয় এবং সঙ্গে থাকা অপর ৩ জনসহ ভিকটিম বিপুলকে ধারালো চাকু দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। হত্যাকান্ডের সময় গ্রেফতারকৃত আসামী আলিফ মদ্যপান অবস্থায় ছিল বলেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত আসামী আলিফ অবৈধ অস্ত্র ও মাদকসহ একাধিক মামলার আসামী।