মোঃ নাজমুল হাসান বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেনের (১৪) মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুর ১টায় জেলার গাবতলী উপজেলার সুখানপুকুর ইউনিয়নের তেলীহাটা মধ্যপাড়া এলাকার কবরস্থান থেকে তার মরদেহ তোলা হয়। মামলার তদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে দাফনের দুইমাস পর তার মরদেহ উত্তোলন করেছে প্রশাসন।সাব্বির হোসেন ওই এলাকায় শাহিন আলমের ছেলে। সে সুখানপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।এর আগে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে আনন্দ মিছিলে অংশ নেয় সাব্বির। মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে সোনাতলা উপজেলার শিহিপুর এলাকায় পৌঁছালে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এরপর সাব্বিরের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করেছিল পরিবার।এ ঘটনার পর গত আগস্টের ১৫ তারিখে সাব্বিরের বাবা শাহিন আমল বাদী হয়ে সোনাতলা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এতে সারিয়াকান্দি-সোনাতলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান ও সোনাতলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিনহাদুজ্জামান লিটনসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়। এতে মামলার তদন্তের স্বার্থে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু শাহমা ও সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিলাদুন্নবী। ময়নাতদন্ত শেষে তাদের তত্ত্বাবধানেই সাব্বিরের মরদেহ ফের দাফন করা হবে।সাব্বিরের মরদেহ উত্তোলনের পর সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিলাদুন-নবী বলেন, সাব্বির হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা। যেহেতু সেসময় ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের মরদেহ দাফন করেছিল পরিবার। তাই তদন্তপর স্বার্থে মরদেহটি ময়নাতদন্তের আদেশ দেন আদালত। মরদেহটি ময়নাতদন্তের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে এবং পুলিশ ও আদালত আইনগত পদক্ষেপ নেবেন।