ডেক্স রিপোর্টঃ
৫ই আগষ্ট শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে জয় বলেন, তিনি দেশ ছাড়তে চাননি। দেশে সংঘর্ষ চলাকালে জানানো হয়েছিল গণভবনে হামলা করবে। তখন আমরা পরিবারের সদস্যরা তাকে কনভিন্স করলাম, এরা শুধু অন্দোলনকারী নয়, সন্ত্রাসীরাও। তারা তোমার ওপর হামলা করবে। তোমাকে দেশ ছেড়ে যেতেই হবে।
দেশে থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঝুঁকিতে পড়েছেন কি না জানতে চাইলে শেখ হাসিনাপুত্র বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হবে স্বাভাবিক। কারণ, সরকার পতনের আগে থেকেই বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছে। তো এখানে শুধু সরকারের দোষ দেয়া হয়, আওয়ামী লীগের দোষ দেয়া হয়, এটা ঠিক না। এখন আওয়ামী লীগ সরকার নেই, কিন্তু নির্যাতন চলছে। সব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের বাসা জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু মিউজিয়াম পর্যন্ত জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। যেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং আমার মায়ের পুরো পরিবারকে হত্যা করা হয়েছিল।
শেখ হাসিনার দেশত্যাগের খবর নেতাকর্মীরা জানতেন না বিষয়টি সত্য কি না জানতে চাইলে জয় বলেন, ‘আসলে সিদ্ধান্ত একদিন আগেই হয়েছিল। আমরা কয়েকজন জানতাম তিনি পদত্যাগ করেছেন ঘোষণা দেবেন এবং সংবিধান অনুযায়ী যাতে একটা ট্রানজেশন বানানো হয়, সেই পরিকল্পনা ছিল। যখন তারা গণভবনের দিকে মার্চ করা শুরু করলো, তখন আমরা চলে আসতে বলি।
সজীব বলেন, তিনবারের মতো আমাদের সবকিছু হারিয়ে বিদেশে থাকতে হলো। আমি আর আমার মা বাদে পরিবারের বাকি সদস্যরা অনেক বছর ধরে বিদেশে আছে। এখানে জীবনের কোনো অসুবিধা নেই। এখানে আমরা থাকতে অভ্যস্ত। দেশের জন্য এত করেছি গত ১৫ বছরে বাংলাদেশকে ডিজিটালাইজড করতে প্রচুর পরিশ্রম করেছি। দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে, এরপরও যদি মানুষ আমার পরিবারের সঙ্গে এমনটা করে তাহলে কিছুই করার নেই।
নির্বাচন হলেও আওয়ামী লীগকে মাঠে নামতে দেয়া হবে কি না, সেই প্রশ্ন থেকে যায়। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীদের কিছু বলতে পারি না। কারণ, তাদের ওপর নির্যাতন চলছে। তাদের জীবন বাঁচানো আমার কর্তব্য, যোগ করেন তিনি।শেখ পরিবারের কোনো সদস্যরই রাজনীতিতে আসার কোনো কারণ নেই বলে জানান সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দিল্লিতে আছেন। ভালো অছেন। তবে তার মন খারাপ। কারণ, দেশের জন্য তিনি এতকিছু করার পরও সেই দেশের মানুষ তাকে অপমান করে বের করে দেবে, আক্রমণ করতে যাবে- এটা কল্পনাও করতে পরেননি তিনি। দাবি করা হচ্ছে গণতান্ত্রিক আন্দোলন। কিন্তু হামলা করা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে।শেখ হাসিনার সাথে দেখা করার প্রশ্নে জবাবে জয় বলেন মায়ের সঙ্গে দিল্লিতে শিগগির দেখা করবো।