নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর বড় ভাই বাংলাদেশের প্রতিতযশা নাট্যযোদ্ধা, থিয়েটার- ঢাকার সাধারণ সম্পাদক নবযুগ প্রকাশনী এবং রিডার্স ওয়েজের অন্যতম কর্ণধার, নাট্যজন প্রয়াত অশোক রায় নন্দীর স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩০ মে বৃহস্পতিবার ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের গান্ধী ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।তিনি বলেন, অশোক রায় নন্দী তার কর্মের মধ্যে দিয়ে বেচে থাকবে।নির্ভুল ও নিখুত ভাবে প্রকাশনী কাজ করার জন্য বাংলাদেশে যে কয়জন লোক পাওয়া যেতো অশোকরায় নন্দী তার অন্যতম। আমি বলবো অশোক রায় নন্দী নিজের জীবনকে উপভোগ করেছে। কারন সে মানুষের জন্য কাজ করেছে।জীবনকে উপভোগ করতে হলে মানুষের জন্য কাজ করতে হবে।আমরা সবাই মিলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সাংস্কৃতিক উন্নয়নে কাজ করতে হবে । তাহলেই মনেহয় অশোক রায় নন্দীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে কারণ তিনি এমন বাংলাদেশেই চাইতেন।
ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের প্রধান উপদেষ্টা সাবেক নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজের সভাপতিত্বে সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রবীন্দ্রনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, প্রয়াত অশোক রায় নন্দীর ছোট ভাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী,চলচিত্র নির্মাতা ও অভিনেতা গাজী রাকায়েত, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের দাতা সদস্য সৈয়দ আহমেদ পাটওয়ারী,ফরক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক মজুমদার , সাবেক সিনিয়র শিক্ষক এবিএম আব্দুল মালেক মিজি, হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সোহেল হাওলাদার, হাইমচর উপজেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের আহব্বায়ক মোঃ জুলহাস, যুগ্ম আহব্বায়ক শাহীন জমদার।
অনুষ্ঠান যৌথ ভাবে পরিচালনা করেন ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দীলিপ চন্দ্র দাস ও ফরক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান মিয়াজী।
সভায় বক্তারা বলেন, অশোক রায় নন্দী একজন ভালো মানুষ ছিলেন সমাজ পরিবর্তনে তার অসামান্য অবদান ছিলো।সংস্কৃতি একটা সমাজকে পরিশুদ্ধ করে।কিছু মানুষ পৃথিবীতে জন্মায় নিজেকে প্রকাশ করার জন্য নয় নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার জন্য। অশোক রায় নন্দী ছিলেন সেরকম একজন মানুষ । তিনি বহুমুখী প্রতিবার অধিকারী ছিলেন।এমন মানুষ আমাদের সমাজে খুব বেশি নেই।
অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, শিক্ষক, আলেম ওলামা,ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ, পুজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ নেয়।পরে প্রয়াত অশোক রায় নন্দীর গ্রামের বাড়িতে তার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে অংশ নেন সবাই।