মোঃ আলাউদ্দীন মন্ডল রাজশাহীঃ
রাজশাহী ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনে কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা-২০২৩ (আইটেক) দিবস উদযাপন করা হয়েছে।মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সাড়ে ৩ টার দিকে রাজপাড়া চন্ডিপুর হোটেল এক্স ভেন্যুতে দিনটি উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থবেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড: বিধান চন্দ্র রায়। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার শ্রী মনোজ কুমার।
বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার।প্রধান অতিথি বলেন, ‘ভারত আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী। আমি জেনে সন্তুষ্ট যে ৫০০-এর বেশি পেশাজীবী, উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, সরকারি কর্মচারী ভারতে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাচ্ছে। এতে তাদের নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।’ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে খুবই চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। এছাড়া সমতা, বিশ্বাস ও সার্বভৌমত্ত্বের সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে।’রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার বলেন,‘বাংলাদেশ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্র। একই সঙ্গে ভারতের উন্নয়ন সহযোগী। দুই দেশের মধ্যে ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা ও ঐহিত্যের পাস্পরিক সম্পর্ক রয়েছে। উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশ আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে দু’দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করেছে।’সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার
এ সময় উল্লেখ করেন, সুবর্ণজয়ন্তী স্কলারশিপের অধীনে প্রতি বছর বাংলাদেশ আইটিইসি-এর জন্য ৫০০টি ‘ডেডিকেটেড স্লট’ পায়। সেইসঙ্গে, বেসামরিক কর্মচারী এবং বেসরকারি উদ্যোগের জন্য বেশ কিছু টেইলর-মেড প্রোগ্রাম রয়েছে যা বাংলাদেশ সরকারের প্রয়োজন অনুসারে হচ্ছে।আইটেক-২০২৩ দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথিদের পাশাপাশি আইটেক অ্যালামনাই উপস্থিত ছিলেন। অ্যালামনাইদের মধ্যে কয়েকজন ভারতে তাদের প্রশিক্ষণের অভিজ্ঞতাও শেয়ার করেন। পরে সাংস্কৃতিক আয়োজনের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।১৯৬৪ সালে ভারতীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা কৌশল কাঠামোর আওতায় ভারতের উন্নয়ন সহযোগিতা কর্মসূচির অংশ হিসেবে আইটেক কর্মসূচি প্রচলিত হয়। এর মাধ্যমে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ভারতের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা এবং যথাযথ প্রযুক্তিগত সুবিধা প্রদান করা হয়। প্রতিবছর হিসাব, নিরীক্ষা, ব্যবস্থাপনা, এসএমই, গ্রামীণ উন্নয়ন ও সংসদীয় বিষয়াবলীর মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ কোর্সের জন্য প্রশিক্ষণ পর্বের আয়োজন করা হয়।