রাজশাহী প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে জমি নিয়ে বিরোধে দুই পক্ষের সংর্ঘর্ষের ঘটনায় আরেকজন কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে সংঘংর্ষে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাড়ালো চারজনে।
সোমবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন মনিরুল ইসলাম গান্দুর (৪৫) মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার পাকড়ীর গোরিসার আবদুল কুদ্দুসের ছেলে।
সংর্ঘর্ষে চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় সোমবার রাতে গোদাগাড়ী মডের থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। নিহত সোহেল রানা ছোটনের ভাই মোঃ হৃদয় বাদী হয়ে ২১জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাতনামা আরো ৫০জনের নামে মামলাটি করেন।
মামলায় প্রধান আসামী করা হয় পাকড়ী পশ্চিমপাড়া গ্রামের তমির উদ্দীন শেখের ছেলে আশিকুর রহমান চাঁন (৫২) এ মামলার অন্যতম আসমাী হায়দার আলীসহ ৭ জনকে পুলিশ আটক করেছে।
সোমবার (১০ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার পাকড়ি ইউনিয়নের মোশড়াপাড়া ইয়াজপুর গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনায় রাজশাহী নগরীর ভাটাপাড়া গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে সোহেল রানা ছোটন (৫০), গোদাগাড়ীর বড়গাছী কানুপাড়ার মৃত আলিম উদ্দীনের ছেলে মেহের আলী (৬৫) ও তার ভাই নাইমুল (৬৮) নিহত হন।
এ ঘটনায় আহত ৬জনকে রামেকে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনিরুল ইসলামের (৪৫) মৃত্যু হয়। তবে আহতদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা সংকটাপন্ন বলেন, নিহত মেহের আলীর ভাই আনসুর রহমান জানান।
পাকড়ী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জালালউদ্দীন বলেন,মোশড়াপাড়া ও ইয়াজপুরে বিরোধপর্ণ ১৪বিঘা জমির মালিক হচ্ছে রাজশাহী মহানগরের ভাটাপাড়ার সোহেল রানা ছোটন জমিগুলো বর্গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাষ করে আসছিল মেহের আলী ও নাইমুল দুই ভাই।
স্থানীয় লোকজন জানান, আশিকুর রহমান চাঁন ১৪বিঘা জমি দখল নিতে হায়দার আলী,জালাল মেম্বার ও কামালসহ সন্ত্রাসীদের ভাড়া করে। সংর্ঘর্ষে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের হামালায় চারজন কৃষক নিহত হয়। নিহত কৃষকদের মরদেহ মঙ্গলবার নিজ গ্রামে দাফন করা হয়।
স্থানীয় লোকজন আরো জানান, এই সংঘর্ষে নিহত হওয়ার ঘটনার নেপথ্য থেকে কাজ করে করছে রাজশাহী জেলা প্রসাশকের কার্যালয়ের উপ সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা সেলিম রেজা। তিনি হত্যা মামলার প্রধান আসামী আশিকুর রহমান চাঁনের ভাই।
এ ঘটনার পরে ইয়াজপুর ও মোাশড়া পাড়া গ্রামে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আটকের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে অনেকেই। পুরুষ শূণ্য গ্রাম দুইটিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।গোদাগাড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে।