এস আর শাহ আলমঃ
চাঁদপুর জেলা জুরেই চলছে মিনি ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন, কখনো বা কৃষি জমি কখনো বা ডোবা নালা বা পুকুর থেকেই অবৈধ মিনি ড্রেজার দিয়ে বালি করে রমরমা ব্যাবসা করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র, আর ওইসব বালু খেকুদের মদত দিচ্ছে ক্ষমতাশীন দলের নামদারি নেতা এবং স্হানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ, শুধু তাই নয়, ড্রেজার মালিকদের সাথে মিলমিশ করে পাটনারে ব্যাবসা করেছে ইউনিয়ন গুলির কিছু ওয়ার্ড মেম্বার, ফলে কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নেবার পরেও পূনরায় চলে বালি উত্তোলন ,
এমন সুএে চাঁদপুর জেলা মতলব দক্ষিণ উপজেলার ১ নং নায়েরগাঁও ইউনিয়ন এর ৭ নং ওয়ার্ড পেয়ারি খোলা কৃষি জমি থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে, আমানউল্লাহ নামের এক ড্রেজার মালিক অবৈধ মিনি ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন এর নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে, আর ওচমান পাটোয়ারী, বাড়ি তার জমি ভড়াট করছে বলে তিনি বলেন, ওচমান আমাদের বলেন, নিজের কৃষি জমি থেকে বালি কেটে, নিজের আরেকটি পুকুর ভড়াট করছে, এতে করে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ধারায়, বলা আছে যে নিজের বা পরের ডোবা নালা বা কৃষি জমির বালি কাটলেও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন নিতে হবে, অথচ ওচমান বলেন, তিনি কোন অনুমোদন নেননি, তবে সকল নাটের গুরু ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার, মোঃ ওমর ফারুক পাটোয়ারী, যার মাধ্যমে নাকি তিনি ড্রেজার ধারা বালি উত্তোলন করছেন, তিনি এমনও বলেন আমরা মেম্বার এর মাধ্যমে ড্রেজার মালিক কে কন্ট্রাক করেছি এই পুকুরটি ভড়াট করতে।
তবে অবাক বিষয় হচ্ছে তিনি নিজেও শিকার করেছেন, কিছু দিন আগে এই ড্রেজার এর পাইপ গুলি এসিল্যন্ড কুপিয়ে জরিমানা করে এসেছে। আর এলাকাবাসী বলেন সরকারি নিয়ম রিতির তোয়াক্কা না করে আবারও ড্রেজার বসিয়ে বালি কাটছেন বালু খেকুরা,
আর ওচমান পাটোয়ারীর স্ত্রী বলেন মেম্বার ও ড্রেজার মালিক কে এই জমি ভড়াট করতে ৩ লাখ টাকা কথা হয়েছে, এবং যেই জমি থেকে বালি কাটা হচ্ছে সেই জমিও কিছু দিন আগে ১০ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছি। আর এই পুকুর ভড়াট করে ঘর করবে বলে তিনি জানান। অপর দিকে ইউনিয়ন মেম্বার ওমর ফারক কে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা ভড়াট করছে তারা আমার আর্ত্বিয় হন, তবে আমি দূরে আছি পরে আপনাদের সাথে কথা বলবো। এ বিষয়ে ইউনিয়ন সচিব বলেন, কিছুূিন আগেত এই ড্রেজার এর পাইপ ভাঙা হয়েছে এবং তাহা বন্দ করে দেওয়া হয়েছে, আর এখন যদি চলে তাহলে আমার জানা নেই।
আর ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান মোল্লা এর মুঠোফোনে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন, কদিন আগে মতলব এর এসিল্যন্ড আমার গ্রাম পুলিশ সাথে নিয়ে এই অবৈধ ড্রেজার এর উপরে অভিযান করে পাইপ গুলি ভেঙে ফেলেছে এবং ড্রেজার মালিক কো অর্থদণ্ড করেছিলো, তারপরে তারা ড্রেজার চালিয়ে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করছে,এবং কৃষিজমি ধ্বংস করছে আমি এর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবো। আর যখন বলা হলো আপনার ওয়ার্ড মেম্বার নাকি ড্রেজার এর সাথে জরিত আছে, উত্তরে চেয়ারম্যান বলেন আমি মেম্বার এর সাথে এখনি বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো।
আসলে বলতে গেলেত শড়িষায় যদি ভুত থাকে তাহলে তারাবেন কেমন করে, এবং রক্ষক যখন বক্ষক হয়, তখন আইনের দোয়াক্কা কতজন করে, আর করেনা বলে কর্তৃপক্ষ কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আবারও চলছে আমানউল্লাহর অবৈধ ড্রেজার, তাও আবার দিবারাত্রি চলছে বলে জানা যায়।
আর বহু চেষ্টা করেও ড্রেজার মালিক এর কোন সাক্ষাৎ পাওয়া যায়নি, মূলত বিষয় হচ্ছে এই অবৈধ ড্রেজার গুলির উপরে অভিযানের পাইপ কাটা বা নগত টাকা জরিমানা করে, কর্তৃপক্ষ সরকারি দায়িত্ব পালন করে আসার পরে পূণরায় সক্রিয় হয় বালু খেকুরা, তাই সচেতন মহল মনে করেন, অবৈধ ড্রেজার গুলি ধ্বংস করলে বা সিচ করা হলে পূণরায় ড্রেজার চালানোর সাহস হতো না কারোই। আর তাই কৃষি জমি বাঁচাতে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সহ মতলব দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টি কামনা করেছেন, ইউনিয়ন বাসি।