মোঃ নাজমুল হাসান নাজিরঃ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য বাদশা মিয়া (৫৫) দূবৃত্তের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আরও ২ জন স্বপন ও সবুজ নামে দুই সহোদর আহত হয়েছেন।২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের নয়নপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বাদশা মিয়া ওই গ্রামের মৃত আমির উদ্দিনের ছেলে এবং সে বেতকাপা ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত ইউপি সদস্য। এছাড়াও তিনি বেতকাপা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৮ নং ওয়ার্ডের সভাপতি।
স্থানীয়রা জানায়, প্রতিনিয়ত রাতে এলাকায় গরু, ছাগল, অটোরিকশা, ভ্যান,টিউবয়েল সহ বিভিন্ন কিছু একদল চোর সংঘবদ্ধ হয়ে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এতে এলাকার জনগন ও চুরি হয়ে যাওয়া পরিবার সর্বশান্ত হচ্ছে। এলাকায় আশঙ্কাজনক হারে চুরির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায়, এবং চুরি প্রতিরোধ করার জন্য স্থানীয় কয়েকজন যুবককে গ্রামে টহল জোরদার করার জন্য নিহত বাদশা মিয়া ওই এলাকায় প্রহরী নিয়োগ করে। স্থানীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়,এবং এলাকার সকলকে জানিয়ে দেওয়া হয় কাজ ছাড়া বিনা প্রয়োজনে রাত দশটার পর বাড়ির বাইরে কাউকে অবস্থান করতে দেওয়া হবে না।
এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাত ১২টার দিকে একই গ্রামের মোসলেম আকন্দ ভোলার ছেলে পাপুল আকন্দের পথরোধ করেন খায়রুল নামে এক প্রহরী। তার পথরোধ করে তাকে জিজ্ঞেস করে এত রাতে বাহিরে কি করো। জিজ্ঞেস করার বিষয় নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। খবর পেয়ে বিষয়টি মিমাংশার জন্য এগিয়ে যান ওয়ার্ড সদস্য বাদশা মিয়াসহ অন্যান্যরা। এ সময় বাদশা মিয়ার সঙ্গে বাগবিতণ্ডা ও তর্কে জড়িয়ে পড়েন পাপুল। উভয়পক্ষের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পাপুল তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে বাদশা মিয়ার বুকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। এ সময় পাশে স্বপন ও সবুজ নামে দুই সহোদর আটকাতে গেলে তাদেরকেও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় পাপুল।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদশা মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি- তদন্ত) দীবাকর অধিকারী জানান, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে একজন ইউপি সদস্য খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত পাপুলকে গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।