মোঃ মিন্টু শেখ বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার আলোচিত ইজিবাইক চালক হত্যা মামলার দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ ২৪শে আগষ্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এতথ্য জানান ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান এর আগে বুধবার রাতে ঢাকাও শিবচর উপজেলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃতরা হলেন মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার রাজাচর গ্রামের মোঃআজিজুল মুন্সী (৩২) এবং একই উপজেলার শরীফকান্দি গ্রামের মোঃ হৃদয় মাতুব্বর (২৫) প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান মহোদয় বলেন গত ২৫শে জানুয়ারী ভোর রাতে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরমানাইর ইউনিয়নের রহমতউল্লা মাতুব্বরের কান্দি গ্রামের আড়িয়াল খা নদীর পারে একটি সরিষা খেত থেকে শাহজাহান বেপারী মরাদেহ উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনার পর ১ ফেব্রুয়ারি নিহতের চাচাত ভাই আক্কাস আলী অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যাও লাশ গুমের অভিযোগে সদরপুর থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্তে জানা যায়। গত ২৪শে জানুয়ারী সন্ধ্যা ৭,৩০ মিনিটের দিকে গ্রেফতারকৃত দুই জনসহ তিন ব্যক্তি শাহজাহানের ইজিবাইকটিতে চরে বিভিন্ন জাগায় ঘোড়াফেরা করে।রাত ১,৩০মিনিটের দিকে তারা রহমতউল্লা মাতুব্বরের কান্দি গ্রামে আড়িয়াল খা নদীর পাড়ে একটি সরিষা খেতে নিয়ে গলায় গামছাও মাফলার পেচিয়ে শাহজাহানকে হত্যা করে তার ইজিবাইকটি নিয়ে চলে যায়।পরে তারা ইজিবাইকের পাচটি ব্যাটারী খুলে একটি ভ্যানে করে ভাঙ্গা উপজেলায় এনে ব্যাটারী বিক্রেতা এক আব্দুল শেখের দোকানে ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে এঘটনার পর পুলিশ গত ৮ ফেব্রুয়ারি ওই ব্যাটারী গুলো কেনার অভিযোগে ক্রেতা আব্দুল শেখ কে গ্রেফতার করে। এর পর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আজিজুল মুন্সী ও হৃদয় মাতুব্বরকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ সুপার মহোদয় জানান ইজিবাইকটি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ফতেপট্টি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আর যে ভ্যানে করে ব্যাটারী গুলো বিক্রির জন্য ভাঙ্গা নেওয়া হয়েছিল ওই ভ্যান চালকে মুকসুদপুরের ফতেপট্রির আয়নাল শেখকে গ্রেফতার কারার পরে তার কাজ থেকে আসামিদের সনাক্ত করেছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন ও অথ্য) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও তদন্ত) শৈলেন চাকমা,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ সালাহউদ্দিন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) তালাত মাহমুদ শাহান শাহ, ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) তুহিন লস্কর,সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন আল রশিদ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদরপুর থানার এসআই ওহিদুল ইসলাম এসময় উপস্থিত ছিলেন।