গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ১৬ নং ননীক্ষীর ইউনিয়ন পরিষদ দেশের প্রথম স্মার্ট ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে স্বীকৃতি পেতে চলেছে।
ওই ইউনিয়নে সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, পূর্ব থেকেই মানবতার ফেরিওয়ালা নামে খ্যাত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শেখ রনি আহমেদ উক্ত ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে গোপালগঞ্জ-১ আসনের বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খানের দিক নির্দেশনায়।
মুকসুদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও স্থানীয় ইউনিয়নবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় ইতোমধ্যেই ইউনিয়নের বিভিন্ন রাস্তাঘাট নির্মাণ, মসজিদ মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক উন্নয়ন সহ যুবসমাজকে সুপথে আনয়নের লক্ষ্যে পরিত্যক্ত খেলার মাঠ সংস্কারসহ বিনামূল্যে বিভিন্ন ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণ করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
শুধু তাই নয় সরকার প্রদত্ত সকল নাগরিক সেবা সমূহ শতভাগ স্বচ্ছতা বজায় রেখে ইউনিয়নবাসীর মাঝে সেবক হিসেবে সেবা প্রদান করে চলেছেন।
এছাড়াও ননীক্ষীর ইউনিয়ন পরিষদকে মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে ২৬টি পয়েন্টে মোট ১০২টি উন্নত মানের সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছেন। যার নিয়ন্ত্রণ ইউনিয়ন পরিষদ থেকেই সরাসরি মনিটরিং করা হয়। এর ফলে ইউনিয়নে ইতোমধ্যেই চুরি, ডাকাতি সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড তুলনামূলকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
এ বিষয়ে ১৬ নং ননীক্ষীর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত মানবিক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রনি আহমেদ বলেন, নিজের ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিনিয়ত ডিজিটাল বাংলাদেশের সকল সুযোগ সুবিধা প্রত্যেকটি জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে।
জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সনদ, পাসপোর্ট শিক্ষা কার্যক্রম, চাকুরীর আবেদন, পরীক্ষার ফলাফল, জমি সংক্রান্ত সেবা, বিভিন্ন সরকারি ভাতা কার্যক্রম সহ ইউনিয়ন পরিষদের সকল সেবা এখন পুরোপুরি ডিজিটাল পর্যায়ে প্রদান করা হচ্ছে। শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকুরী, যোগাযোগ সহ উন্নত জীবনযাপনে যার সুফল ভোগ করছেন ইউনিয়নের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ।
এছাড়াও তিনি বলেন, ডিজিটাল ইউনিয়নকে স্মার্ট ইউনিয়নে রূপান্তরের লক্ষ্যে জননেতা কর্নেল মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি মহোদয়ের দিক নির্দেশনায় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ ঘোষণার শুরু থেকেই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার জানা, দক্ষতা অর্জন এবং দক্ষতা কর্ম ক্ষেত্রে প্রয়োগের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করার লক্ষ্যে ননী ক্ষীর ইউনিয়ন পরিষদে ‘শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার’ স্থাপন করা হয়েছে।
ইউনিয়নের অবকাঠামগত দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই উন্নয়ন, জনগণের মধ্যে সেবার সমতা রক্ষা, সরকারি ভাতা ও সুবিধাদির সুষম বন্টন, জনগণের আর্থসামাজিক অবস্থা, জনগণের সাথে দ্রুততর যোগাযোগ এবং সঠিক ভবিষ্যৎ উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘স্মার্ট ইউনিয়ন পরিষদ ম্যানেজমেন্ট’ সফটওয়্যার নির্মাণ করা হয়েছে।
নাগরিকবৃন্দের ব্যক্তিগত তথ্য, পারিবারিক তথ্য, ছবি ও মোবাইল নম্বর, পরিবারের সদস্য সংখ্যা, আয় ব্যায়ের তথ্য, ভাতা সুবিধা, হোল্ডিং ট্যাক্স, আয় কর, কৃষি- অকৃষি জমির পরিমাণ, নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন সহ প্রয়োজনীয় প্রায় ৩৫ ধরনের তথ্য এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে সংরক্ষিত রয়েছে।
ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তি সহায়তায় হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ- মাদ্রাসা, কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ- মন্দির ও ধর্মীয় স্থান, সমাধিস্থল, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, দর্শনীয় স্থান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, চিকিৎসক, সেবা কর্মীসহ প্রায় সকল নাগরিকের বাড়ির স্যাটেলাইট ম্যাপ লোকেশন চিহ্নিত করা হয়েছে।
ইন্টারনেটের মাধ্যমে গুগল ম্যাপে সার্চ করে অত্র ইউনিয়নের যেকোন স্থান ও তার তথ্য সহজেই পাওয়া যায়।
ইউনিয়নবাসি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা ও নির্বিঘ্নে চলাচলের সুবিধার্থে ইউনিয়নের ২৬ টি পয়েন্টে সর্বমোট ১০২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক জনগণের নিরাপত্তা সেবায় স্থাপিত সিসি ক্যামেরা গুলো সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় হতে কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়।
ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঠিক সময়ে কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ ও জনগণের নির্বিঘ্ন সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষার পরিবেশ সুন্দর ও সঠিক মান রক্ষার্থে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিসি ক্যামেরা ডিজিটাল হাজিরা ও স্কুল ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ব্যবহার কার্যক্রম চলছে।
এছাড়াও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রনি আহমেদ জানান অচিরেই ননীক্ষীর ইউনিয়ন পরিষদকে স্মার্ট ইউনিয়ন পরিষদ হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার যাবতীয় কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক মহোদয় অচিরেই এই ইউনিয়নকে স্মার্ট ইউনিয়ন হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করবেন।