বিশেষ প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার সদরের টিআর ডিবি অফিস সংলগ্নে রাস্তার পাশের একটি কুঁড়ে ঘরের ভেতর তৈরী হচ্ছে বিসমিল্লাহ সুইটস & বেকারির পণ্য সামগ্রী।
পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়,নোংরা ও আবর্জনা এবং মশা মাছির এক মিলন মেলা সেখানে,প্রস্তুত কারক ব্যক্তিদের নেই কোনপ্রকার স্বাস্থ্য সচেতনতা,মিষ্টির বিভিন্ন পাত্রে পরে আছে মাছি ও বিভিন্ন পোকামাকড়।
বিসমিল্লাহ সুইটস এর কারখানার সকল ময়লা আবর্জনা পার্শ্ববর্তী ওয়াপদাহ খানে নিষ্কাশনের কারণে,হাইমচর উপজেলা সদর থেকে কাটাখালী রোডের মানিক দত্তের ব্রিজের রাস্তা ধরে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার পথচারী ও চাঁদপুর টু আলগী বাজারের গাড়ি চলাচল করে।
এই স্থানে পৌছুতেই মানুষ দমবন্ধ করে রাস্তা পাড়ি দিচ্ছে।প্রতিবেশী একাধিক পরিবার বলেন,আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে এই খালের পাশে আমাদের বাড়ি হওয়ায়।প্রতিনিয়ত আমরা এই দুর্গন্ধের তীব্রতার শিকার,আমরা তাদের বললে,তারা এসব বিষয়ে কোনপ্রকার কর্ণপাত করেনা।
এই বিষয়ে বিসমিল্লাহ সুইটস এর শো-রুমে আমাদের প্রতিনিধি পৌঁছে কাউন্টারে মালিক পক্ষের সুমন নামে একজনকে পেয়ে বিষয়টি অবগত করলে তিনি বলেন,আমরা তো মার্কেটিং করিনা তাই,আমরা আমাদের পণ্য মার্কেটিং করলে লাইসেন্স করতাম,আমরা নিজেরা পণ্য বানিয়ে নিজেদের শো-রুমে বিক্রি করছি,তাই আমাদের কোনপ্রকার লাইসেন্স এর প্রয়োজন নেই।
কারখানার নোংরা পরিবেশ সম্পর্কে জিগ্যেস করলে তিনি বলেন,কাজ শেষে সব পরিস্কার করে নেই,আমাদের পণ্যের কোনপ্রকার অভিযোগ নেই।
জানা যায় যে বিসমিল্লাহ সুইচ প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ মন মিষ্টি বিক্রি করে থাকে,প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকার মিষ্টি বিক্রি করে থাকে,এত টাকার পণ্য বিক্রি করেও বিসমিল্লাহির মালিকরা বাংলাদেশ সরকারকে কোন প্রকার ভ্যাট ও ট্যাক্স দিচ্ছে না,এমনকি তাদের নেই খাদ্যদ্রব্য তৈরি করার সরকারি কোনো বৈধ অনুমোদন।