মোঃ মিঠু মিয়া গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও কোন ভাবেই হিরুর দূর্ণিতির সচল এই গাড়ি কে যেন থামাতেই পারছে না সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।
সুইপার থেকে শুরু করে যে কেউ কোন বেতন ভাতা উত্তোলন করতে গেলেই হিরুর মাধ্যমে তত্বাবধায়কে টাকা না দিয়ে কোন ভাবেই পার পাননি। এমন অবৈধ পন্থায় ইনকাম করা টাকার গরমে দিন দিন যেন আরো বে- পরোয়া হয়ে উঠেছে এই দূর্ণিতিবাজ হিরু সেই সাথে টাকার পাহাড় গড়েছেন তত্বাবধায়ক ডা: মাহবুব।
গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে চাকুরী পাবার পর থেকে নুর এ ইসলাম হিরু ধিরে ধিরে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়লেও বিগত আওয়ামীলিগ সরকারের আমালে যেন লাগামহীন ঘোড়ার মতন দৌড়াতে থাকে। আর সেই দৌড়ে বিগত ১৬ বছরে গাইবান্ধা সদর আসনের সাবেক সাংসদ ও জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনির ছত্র ছায়ায় থেকে বনে যান শত কোটি টাকার মালিক। সেই সাথে হাসপাতালের খাদ্যের দরপত্র সহ অন্যান্ন দরপত্রে সাবেক হুইপের পি এস বিদ্যুত এবং অন্তরালে এই হিরুর দখলে থাকায় ধরাকে সরা জ্ঞান করে চালায় এক ছত্র আধিপত্য। সে সময় হাসপাতালের খাবারের অনিয়ম সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রচারিত হলে বিষয়টি ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা করে হিরু, এবং তখনি এসব দরপত্রের অন্তারালে তার সংশ্লিষ্টতা প্রকাশ পায়।
এসবের বাহিরেও প্রতি বছর সদর হাসপাতালে কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন সামগ্রী ক্রয় বাবদ বাজেট আসলেও এমএসআর যন্ত্রপাতি, ইসিজি মেশিন, এক্সরে মেশিন, অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্রপাতি মেরামত ও কন্টেজেন্সি বিল বাবদ ভুয়া ভাউচার করে তত্বাবধায়ক ডাক্তার মাহবুবের সহায়তায় এসব টাকা উত্তোলন করে ভাগাভাগি করে নেয়ার মধ্য দিয়েই দূর্ণীতির মহানায়ক হয়ে উঠে এই হিরু।
তত্বাবধায়ক ডাক্তার মাহবুব এবং হিরু মিলে বিগত ১৪ মাসের হাসপাতালের সকল প্লাস্টার বাহিরে বিক্রি করে ভোগান্তিতে ফেলে হাসপাতালে আসা শতশত রোগিকে।আর নিজেরা বনে য়ায় টাকার কুমির।
সদর উপজেলার বালুয়া এলাকায় হিরু নিজের পৈত্রিক বাড়ি ছেড়ে পৌর শহরের মহুরি পাড়া এলাকায় স্ত্রী এবং শ্বাশুরির নামে ৬০ লক্ষ টাকা মুল্যের একটি জমি ক্রয় করে। বর্তমানে সেখানে ৮ তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। যা ইতোমধ্যে ৩য় তলা পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে এবং বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমালে ১৫/১৬ বছরে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়া, হাসপাতালের কোটি টাকা এমএসআর যন্ত্রপাতি, ইসিজি মেশিন, এক্সরে মেশিন, অপারেশন থিয়েটার যন্ত্রপাতি মেরামত বাবদ ও কন্টেজেন্সি বিল ভুয়া ভাউচার করে ডাক্তার মাহাবুব হোসেনের সহায়তায় উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তার দোসর তত্বাবধায়কের সাথে কথা বলার দোহাই দিয়ে কক্ষের দরজা বন্ধ করে সটকে পরেন। প্রধান সহকারী কাম-হিসাব রক্ষক নুর এ ইসলাম হিরু। যা থেকেই প্রমানিত হয় হিরুর অবৈধ টাকার পাহাড়ের বাস্তবতা।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার মাহবুবুর রহমানের নিকট পৌছানোর আগেই তার রুমে থাকা সিসি টিভিতে সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করেন তত্বাবধায়ক। পরে একরকম দৌড়েই তার সামনে উপস্থিত হয়ে এসব দুর্ণীতির বিষয়ে জানতে চাইলে নানা প্রশ্নের জবাবের সঠিক কোন উত্তর না দিয়ে পালিয়ে আশ্রয় নেন অস্থায়ি সেনা ক্যাম্পে।
কতিপয় এমন অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারির কারনে ভোগান্তিতে পরা চিকিৎসা সেবি এবং ভুক্তভোগিদের রক্ষার পাশাপাশি অনিয়ম দুর্ণিতির সাথে জড়িত সকলের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সুধি সমাজ।