বিশেষ প্রতিনিধিঃ
পূর্ব এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম কৃত্রিম জলাদার কাপ্তাইয়ের জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জলকপাট গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। খুলে দেওয়ার ৬ ঘন্টা পর বুধবার ২৫ আগস্ট দুপুর ২ টার দিকে জলক পাট গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রর ব্যবস্থাপক. তত্ত্ববধায়ক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের গণমাধ্যমকে জানান, আজ সকাল ৮ থেকে ২ টা পর্যন্ত প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি নির্গত হয়েছে কর্ণফুলী নদীতে। বর্তমানে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিটে উৎপাদন হচ্ছে। এইজন্য প্রতি সেকেন্ডে ৩২ থেকে ৩৩ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশন হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে হ্রদের পানির প্রবাহ ও বৃষ্টিপাত নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। পানির লেভেল অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেলে দিল স্প্রিলওয়ের
গেট খোলার পরিমাণ পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে। এর আগে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপদ সীমার কাছাকাছি হওয়ায় আজ সকাল ৮টায় জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬ টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি খুলে দেওয়া হয়েছিল। কাপ্তাই হ্রদে বাঁধ দেয়া অংশে ১২ দশমিক ২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১১ দশমিক ৩ মিটার প্রস্থের ১৬ টি জলকপাট বা স্লুইসগেট
রয়েছে। এগুলো দিয়ে একসঙ্গে প্রতি সেকেন্ডে ৫ লাখ ২৫ হাজার কিউসেক পানি নিষ্কাশন করা য়ায়।১০৯ এম এস এল মিনা সি লেভেল ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন সম্পূর্ণ হলেও হৃদে ১০৮ এম এস এলের অধিক পানি পূর্ণ হলে বিপদ সীমার অবস্থা সৃষ্টি হয়। এই পরিমাণে পৌঁছালে ছাড়া হয় কাপ্তাই লেগের পানি।