একরামুল হক অন্তর বানদরবানঃ
এর মধ্যে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আসামি ১৫০ জন। রবিবার (২০ মে,২০২৪ ইং,) রাতে লামা থানায়/ এজাহার মামলা দায়ের করেন রাঙ্গাঝিরি গ্রামের কুমারীর বাসিন্দা শেখ শহীদ সিকদার (৪৩)। ১৯ মে রাতে নির্বাচনী সহিংসতায় ৩ জন আহত,মারধর ও আনারস মার্কার অফিস ভাংচুর হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানায়, শনিবার রাত ৭টা ৫০ মিনিটে ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড লম্বাছনখোলার ওয়ারবিল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। হামলায়,আহতরা হলেন, লম্বাছনখোলার ওয়ারবিল এলাকার বদিউল আলমের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (১৯), এন্তেজ আহমদের ছেলে আব্দুল মজিদ (৩২) ও নুরুল আজিমের ছেলে মোঃ জুনাইদ (২১)।
হামলায় আহত আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা রাত ৭টা ৫০ মিনিটে নির্বাচনী অফিসে বসে মাইক বাজাচ্ছিলাম। এসময় সাপেরঘারা থেকে মোটর সাইকেল প্রার্থীর একটা মিছিল আসছিল। মিছিল থেকে কয়েকজন মানুষ এসে মাইক বন্ধ করতে বলেন। কিছু বুঝে উঠার তারা হামলা করে।
৫টি চান্দের গাড়ি ও শতাধিক মোটর সাইকেল ছিল মিছিলে। মিছিলটি হঠাৎ করে এসে মোস্তফা জামাল এর আনারস প্রতীকের নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে সবকিছু ভাংচুর করে ও আমাদের ৩ জনকে আহত করে। ওই মিছিলে মোটর সাইকেল প্রতীকের প্রার্থী জাকের হোসেন মজুমদার ছিলেন। তাদের কাছে দেশীয় অস্ত্র, কুড়াল,লাঠি ছিল।
আনারস মার্কার নেতা-কর্মীরা প্রাণের ভয়ে ঘটনাস্থল হতে কিছুটা নিরাপদ দূরত্ব আবস্থান নিয়ে ছিল। আসামীরা সিরাজুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্য মাথায় আঘাত, ডান হাতের কনিষ্ঠ, অনামিকা অঙ্গুলের হাড় ভাঙ্গা, হাড় ভাঙ্গা জখমপ্রাপ্ত হয়। এর রকম অন্যান্যরাও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। হামলায় আরও বেশি লোকজন আহত হয়েছেন বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শামীম শেখ মামলা দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আইনশৃংখলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার সংশোধন আইন) আইন ২০১৯ এর ৪/৫ রুজু করা হয়েছে। এতে ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি রয়েছেন ১৫০ জন।