মোঃ সহিদুল ইসলাম নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর ধামইরহাটে বড়থা ডি আই ফাজিল মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলাম এর স্বাক্ষর জাল করে বিল বেতন উঠানোর অভিযোগ উঠেছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ হারুন অর রশিদ ও অন্যান্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। এবিষয়ে হারুন অর রশিদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বিষয়টি তিনি কৌশলের আশ্রয়ে স্বীকার করতে চাননি। তিনি বলেন যে বিলে সভাপতির স্বাক্ষর আছে। এখানে তিনি বিল বলতে কেবলমাত্রে মাচর্ মাসের বেতন বিলকে বুঝাতে চেয়েছেন বার বার। তিনি এও স্বীকার করেন যে, ঈদ বোনাস ও বৈশাখী ভাতায় আমরা প্রাপ্যতার থেকে বেশী বিল লিখে সভাপতির স্বাক্ষর নিয়েছিলাম, কিন্তু পরে দেখি যে আমাদের বরাদ্দের পরিমান বোনাস বিল ও বৈশাখী ভাতার বিলের থেকে কম। এমতাবস্থায় আমরা নতুন করে কম্পিউটারে ঐসব ঠিকঠাক করে ব্যাংকে জমা দেই।আবারো হারুন অর রশিদকে প্রশ্ন করা হয় যে, তিনি নতুন সংশোধিত বিলে সভাপতির সাক্ষর নিয়েছিলেন কি না? তিনি একবার বলেন যে, বিলে সভাপতির স্বাক্ষর আছে, আবার বলেন যে, কেবলমাত্র আমি একাই স্বাক্ষর করে বিল ব্যাংকে জমা দিয়েছি। সভাপতি বিলের বিষয়ে ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে কথা বলেছেন বিল ছেড়ে দেয়ার জন্য। এবিষয়ে সোনালী ব্যাংক ধামইরহাট শাখার ব্যাক ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান যে, সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়া বিল ছাড়ের বিধান নাই ও স্বাক্ষর ছাড়া সভাপতি কোন বিল ছেড়ে দিতে বলেন নাই বা এবিষয়ে কোন কথা হয় নাই। তিনি আরো বলেন যে, মার্চ মাসের বেতন বিলে সবাপতির স্বাক্ষর আছে আমি দেখেছি, ঈদের ছুটির আগের দিন ভিড়ের মাঝে তারা কম্পিউটার ফ্যাব্রিকেটেড বোনাস বিল ও বৈশাখী ভাতার বিল মার্চ মাসের বেতন বিলের নিচে কৌশলে রেখে হয়তো পার করে নিয়ে গেছে, তবে তারা অধ্যক্ষের সাময়িক বরখাস্তের জন্য অধ্যক্ষের বিল বাদ দেয়ার গভর্নিং বডির রেজুলেশনটি সঠিক কিনা তা যাচাই এর জন্য সভাপতির সাথে কথা হয়। তারা যে অন্যান্য বিল কম্পিউটারে জেনারেট করে জমা দিয়েছে, তা ঐ সময় ভিড়ের মাঝে তাদের কৌশলের কারনে যাচাই করা যায় নাই, ফলে সভাপতির সাথে নকল বিল জমা দেয়ার বিষয়ে বা ছাড় দেয়ার বিষয়ে কথা হওয়ার অবকাশ নাই। কিন্তু তারা যদি সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে থাকেন বা কম্পিউটারে বিল ফ্যাব্রিকেট করে থাকেন ও তা চেক করে যদি ধরা পড়ে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার অবকাশ থাকে। এবিষয়ে মাদ্রাসা সভাপতি মোঃ শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করে হলে তিনি জানান যে, ব্যাংক মানেজারের কথা সত্য, আর মাদ্রাসা শিক্ষকদের চিরাচরিত স্বভাব আমার সাক্ষর জাল করা ও প্রতারনা করা। ইতিপূর্বেও তারা আমার স্বাক্ষর জাল প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে করেছে। তারা সব সময় শটকাট রাস্তা খোজে। আমার কাছে বিল সংশোধন করে দিলে আমি সাথে সাথেই স্বাক্ষর করে দিতাম। আমাকে তারা এবিষয়ে কোন কিছুই জানায় নাই। আমি সভাপতি হিসাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জনাব হারুন অর রশিদের সাথে এবিষয়ে জানতে চেয়েছি যে, কেন তারা কারচুপির আশ্রয় নিলেন বিলের টাকা সংগ্রহে, কিন্তু আমি দেখলাম যে, হারুন অর রশিদের কথা অতি চাতুরতাপূর্ন, সন্দেজনক ও রহস্যপূর্ন। সভাপতির স্বাক্ষর ছাড়া সরকারী একটি টাকাও কোন চাতুরতার মাধ্যমে উত্তোলন করা আইনত অপরাধ।