চাঁদপুর

চাঁদপুরে সততা হার্ড‌ওয়্যারের অসৎ কর্মকাণ্ডে প্রবাসী আনিসুর রহমান সর্বস্ব হারা

চাঁদপুর প্রতিনিধিঃ
চাঁদপুরে (কুমিল্লা রোডস্থ চক্ষু হাসপাতালের সামনে) সততা হার্ড‌ওয়্যারের মালিক শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া এর অসৎ কর্মকাণ্ডে সর্বস্ব হারিয়ে এখন নিঃস্ব হয়ে দিনযাপন করছেন প্রবাসী আনিসুর রহমান সহ তার পরিবার পরিজন।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আনিসুর রহমান ছিলেন একজন প্রবাসী। তিনি দীর্ঘ ১৯বছর সৌদি প্রবাসে থাকার পর ২০১৮সালে দেশে চলে আসেন। এরপর আপন মামা মামানীর পরামর্শে মামাতো ভাইয়ের সাথে সারা জীবনের উপার্জনের জমাকৃত ১২ লাখ ৫০হাজার টাকা ব্যাবসার উদ্দেশ্যে মামাতো ভাই শরিফুল ইসলাম কে প্রদান করেন।

পরে তিনি তার আপন মামাতো ভাই শরিফুল ইসলাম এর কথামতো তার সাথে ব্যাবসা করার কথা চিন্তা করলে, শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া আনিসুর রহমান এর কাছ থেকে ডিলারশিপ ব্যাবসার নাম করে, ব্যাঙ্ক চেকের মাধ্যমে ও নগদ মোট ১২লক্ষ ৫০হাজার টাকা নেয়।

আপন মামা মামানীর উপস্থিতিতে মামাতো ভাই শরিফুল কে ১২লাখ ৫০হাজার টাকা প্রদান করেন। এক পর্যায়ে ডিলারশিপ ব্যাবসা দিতে না পারলে টাকা দিবে দিবে বলেও দীর্ঘ ৪বছর কেটে যায়। পরে প্রতারক শরিফুল কে টাকার কথা বললে তিনি বাদী আনিসুর রহমান কে বলেন, ডিলারশিপ ব্যাবসা দিবে। পরে না দিতে পারায় জুন ২০২২ সালে তার মা বাবা এবং তাদের পরিচিত স্থানীয় সুমন পাটোয়ারীর মধ্যস্থতায় সিদ্ধান্ত হয় আনিসুর রহমানের টাকার পরিবর্তে তাকে শরিফুল ইসলাম এর পরিচালিত এমইপি ইলেকট্রিক্যাল কোম্পানির ডিলারশিপ ও পন্য হস্তান্তর করিবেন।

কিন্তু তার জন্য ভুক্তভোগী আনিসুর রহমান কে দিতে হবে ট্রেড লাইসেন্স কপি, টিন সার্টিফিকেট, এবং স্ট্যাম্প ও ব্যাঙ্ক চেকের পাতা।

এরপর কথা অনুযায়ী ভুক্তভোগী আনিসুর রহমান প্রতারক শরিফুল (মামাতো ভাই) কে সকল কাগজপত্র দিলে, প্রতারক শরিফুল ইসলাম চালাকি করে ভুক্তভোগী আনিসুর রহমান এর কাছ থেকে (শফিকুল নামের একজনকে দিয়ে )ভূয়া ম্যানেজার সাজিয়ে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস এর মাধ্যমে তার ঠিকানায় আনিসুর রহমান এর সকল কাগজপত্র সহ ব্যাঙ্কের ৩টি চেকের পাতা ও বিভিন্ন ডকুমেন্টস নিয়ে নেয়।

পরে, প্রতারক শরিফুল ইসলাম কথিত ভূয়া ম্যানেজার শফিকুল ইসলাম এর কাছ থেকে সকল ডকুমেন্ট নিয়ে নেয় এবং ভুক্তভোগী প্রবাসী আনিসুর রহমান এর বিরুদ্ধে উল্টো মামলা দায়ের করেন চাঁদপুর জেলা কোর্টে। মিথ্যা মামলা আর ১২লাখ ৫০হাজার টাকা নিয়ে এভাবে হয়রানি করা হচ্ছে দীর্ঘ ৫বছর যাবৎ । একদিকে টাকা নেওয়া অন্যদিকে মিথ্যা মামলা দিয়ে এই প্রবাসী আনিসুর রহমান কে হয়রানি করা হচ্ছে প্রায় দেড় বছর যাবৎ।

মিথ্যা মামলায় উল্লেখ করেন বিগত ১১/০৮/২২ ইং তারিখে তার দোকান থেকে আনিসুর রহমান বাকিতে ১৪লাখ ৪৯হাজার ৬শত ৪২টাকার মালামাল ক্রয় করেন মমিন পাড়া তার দোকানে বিক্রির জন্য। কিন্তু মমিন পাড়ায় আনিসুর রহমানের এমনকি অন্য কোনো হার্ড‌ওয়্যারের দোকানের কোনো অস্তিত্ব ছিলনা এবং এখনো নেই। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভূয়া, বানোয়াট সাজানো গোছানো একটি প্রতারনা করা হয়েছে।

এখানেই থেকে থাকেনি প্রতারক শরিফুল ইসলাম। মিথ্যা মামলায় আসামি করে বার বার হেনস্থা করতেছেন ভুক্তভোগী প্রবাসী আনিসুর রহমান কে। কোনো কুল কিনারা না পেয়ে তিনি এক পর্যায়ে ঘরোয়া শালিস বৈঠকের ব্যাবস্থা করেন।

কিন্তু,আনিসুর রহমান ঘরোয়া শালিস থেকে শুরু করে থানায় গিয়েও পায়নি কোনো ন্যায় বিচার। দীর্ঘ ৫বছর যাবৎ এই প্রবাসী আনিসুর রহমান এর সংসার চলছে না খেয়ে না পড়ে। পাশে পাচ্ছে না কাউকে। স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ঘুরছেন পথে পথে।তাই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং তার ১২লাখ ৫০হাজার টাকার ৫বছরের ক্ষতিপূরণ ও মামলার পিছনে গত ৫বছরে ব্যায় হ‌ওয়া ২লাখ ৫০ টাকা সহ তিনি তার ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য দাবি জানিয়েছেন গনমাধ্যমের দ্বারা চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান এর নিকট।

বর্তমানে প্রতারক শরিফুল ইসলাম প্রবাসী আনিসুর রহমান এর টাকা দিয়ে দীর্ঘ ৫বছর ব্যাবসা করে ব্যাবসার পরিধি অনেক বড় করেছেন। সাথে নূরজাহান টাইলস নামেও একটি দোকান দিয়ে নির্দ্বিধায় ব্যাবসা করে যাচ্ছেন। অথচ প্রবাসী আনিসুর রহমান পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

এখানেই শেষ নয়, ব্যাবসার সেই লাভের কিছু অংশ দিয়ে তিনি কিছু অসাধু ও প্রভাবশালী লোকজন এবং আইনজীবীদের সহায়তায় আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী ও মামলা করে আসতেছেন।

তার দাবি, তিনি তার জায়গা থেকে স্বচ্ছ আছেন। প্রয়োজনে বিষয়টি পূনরায় বিজ্ঞ জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান এর আমলে নিয়ে তিনি এই বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার প্রতিষ্ঠা করে দিবেন বলে আশাবাদী প্রবাসী আনিসুর রহমান।

নয়তো দিনের পর দিন নিরিহ এই প্রবাসী আনিসুর রহমান তার পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

Back to top button