নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল হককে কুপিয়ে ও গুলি করে নিহত করেছে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয় রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে সে মারা যায়।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার আলীনগর আড়াকান্দা নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে। নিহত চেয়ারম্যান সিরাজুল হক বাঁশগাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, চেয়ারম্যান সিরাজুল হক দুপুরে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা শেষে বাঁশগাড়ি নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন। চেয়ারম্যানের বহনকারী মোটরসাইকেলটি রায়পুরা-বাঁশগাড়ি সড়কের আলীনগর আড়াকান্দা নামক স্থানে পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা গতিরোধ করে। ওই সময় দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল চালককে মারধরে করে সরিয়ে দেয়।
তারপর চেয়ারম্যানকে গুলি এবং কুপিয়ে সড়কের পাশ্ববর্তী জলাবদ্ধ জমিতে ফেলে দেয়। ওই সময় সড়কে চলাচলরত লোকজন এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
আহত অবস্থায় প্রথমে চেয়ারম্যান সিরাজুল হককে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক রেজাউল ইসলাম খাঁন জানান, চেয়ারম্যান সিরাজুল হক ঘাড়ে গুলিবিদ্ধ এবং বিভিন্ন স্থানে কুপানোর দাগ রয়েছে। তাঁর প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। তাই প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের আধিপত্য নিয়ে পূর্ব থেকেই দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। প্রাথমিকভাবে এই ঘটনার জের ধরেই এই হামলার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন। পুলিশ সরেজমিনে পরিদর্শন করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
খবর পেয়ে রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ও সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা-বেলাব সার্কেল) বেলাল আহমেদ হাসপাতালে আহত চেয়ারম্যান সিরাজুল হককে দেখতে যান।
এদিকে তার মৃত্যু খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়।