দেশজুড়ে

লোহাগাড়া সাবরেজিস্টার অফিসে লক্ষ লক্ষ টাকার ঘুষ বাণিজ্য ভূমি মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি

কামরুল ইসলামঃ
বিগত ১৪ বছর ধরে লোহাগাড়া উপজেলায় বেড়েছে জমির দাম। একই সময়ে জমির ক্রয়-বিক্রয় বেড়ে গেছে। এই সুযোগে লোহাগাড়া সাব রেজিস্ট্রি অফিস ঘিরে দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠে এবং সাবরেজিস্টারের ঘুম বাণিজ্য বুদ্ধি পেয়েছে বলেও জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা। এছাড়াও দলিল লেখকদের মাধ্যমে রেজিস্ট্রি করলে কোটি টাকার জমি দাম দেখানো হয় লাখ টাকা এইখানে ও দূর্নীতি। এতে বড় অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয় সরকার এবং অভাবের সংসার করছে বর্তমান সরকার ।

ভুক্তভোগী লোকজনের অভিযোগ, এখানে হয়রানির সীমা নেই। যে কোনও কাজের জন্য দালাল ধরতে হয়। অতিরিক্ত টাকা না দিলে মাসের পর মাস ঘুরেও জমি রেজিস্ট্রি হয় না। অন্যদিকে, তাদের মাধ্যমে জমির দাম কম দেখিয়ে রেজিস্ট্রি ফি কম দেওয়ায় রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লোহাগাড়া সদরে অবস্থিত সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখকদের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট চক্র রয়েছে। এদের সঙ্গে যোগসাজশ রয়েছে ওই অফিসের কর্মকর্তা-কর্মকচারীদের। জমি রেজিস্ট্রি করতে যাওয়া মানুষ থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি প্রদান করার পরই অফিস খরচের নামে আদায় করেন অতিরিক্ত টাকা। কমিশন ফি, বায়নানামা রেজিস্ট্রি, হেবা দলিল, ওসিয়তনামা, অংশনামা, দলিল রেজিস্ট্রি, সই মহুরি, জরিপ সংশোধন ইত্যাদি কাজ তাদের মাধ্যমেই করতে হয়। আর এতে পাঁচ-সাত গুণ বাড়তি টাকা দিতে হয় গ্রাহকদের।

ভুক্তভোগী মো. আবদুল মোতালেব বলেন, ‘আমি ৫ শতক জমি রেজিস্ট্রি করার জন্য ব্যাংক ফি দিতে হয়েছে ৩৬ হাজার টাকা। কিন্তু দলিল লেখক তার ফিসহ সাব-রেজিস্ট্রি অফিস খরচ দেখিয়েছেন ৪১ হাজার ৫০০ টাকা। বাধ্য হয়ে এ টাকা দিতে হয়েছে। এই টাকা ছাড়া দলিল রেজিস্ট্রি করছে না তারা।’

এবিষয়ে জানতে চাইলে লোহাগাড়া উপজেলায় জন্যক দলিল লেখক বলেন, সরকার নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কোনো সুযোগ নেই। জমি রেজিস্ট্রির সব টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে প্রদান করতে হয়। রেজিস্ট্রি পর খুশি হয়ে কিছু বখশিস দেন।’

লোহাগাড়া সাব-রেজিস্ট্রার সরাব উদ্দিন বলেন, জমি রেজিস্ট্রিতে সরকারি নির্ধারিত ফি রয়েছে। যা ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। লোহাগাড়া উপজেলা সাবরেজিস্টার অফিস খরচের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

Back to top button