কামরুল ইসলাম চট্টগ্রামঃ
বান্দরবান সদরের জনপদকে শান্তি রাখতে সকলের সহযোগীতা প্রয়োজন। সকলকে সচেতন হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বান্দরবান সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবদুল জলিল।
ওসি আবদুল জলিল পাহাড়ের পাদদেশে যেসব ঘরবাড়ি রয়েছে, সেখানে সকল অপরাধ প্রতিরোধ করতে পুলিশের পাশাপাশি এলাকার মানুষের সচেতন হতে হবে। আমি ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকায় জনপ্রতিনিধি,সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দদেরকে সচেতনমুলক সভা করার জন্য অনুরোধ করেছি। আমার পরিবারের সকল সদস্যরা যদি বাড়ি ঘর বন্ধ করে বেড়াতে যায়, তাহলে চোর ঢুকে হামলা করার চেষ্ঠা করবে।
অন্তত সবাই,বেড়াতে না গিয়ে পরিবারের কোন একজন সদস্য বাড়িতে থাকলে চুরির প্রবণতা থাকবেনা। চুরির প্রবণতা কমাতে আমার থানা পুলিশ সবসময় প্রস্তুত রয়েছে। তিনি আরও জানান, কোন ধরণের ঘটনার খবর পেলে থানা পুলিশকে অবগত করবেন। শারদীয় দুৃর্গাপূজা উপলক্ষে সকল পূজামন্ডপে শৃঙ্খলার জন্য আমরা ইতিমধ্যে প্রত্যেক পূজামন্ডপে থানা পুলিশের টিম ভাগ করে দিয়েছি। আমিও ইতিমধ্যে পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেছি। অনেক কিশোরগ্যাং কে আটক করে আদালতে সৌপর্ধ করার প্রস্তুতি নিয়েছি। সন্ধ্যার পর থেকে পাহাড়ের পাশে বখাটের আটক করতে আমাদের থানা পুলিশের সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। তিনি আরও জানান,দোকানের ক্যাশে বসে ঘুমালে চোরেরা সুযোগ পাবে। তাই সকল ব্যবসায়ীকে সচেতন হতে হবে। অপরাধীরা যত বড়ই শক্তিশালী হোক না কেন তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।যানজট নিরসনের জন্য যোগদানের পর থেকেই অভিযান পরিচালনা করে যাচ্ছি। আমি সেদিন শান্তি পাবো, যেদিন বান্দরবান সদরের মানুষ দরজা খুলে ঘুমাতে পারবে। তাই সকল জনপ্রতিনিধিসহ এলাকাবাসীর সহযোগীতা কামনা করছি।