মোঃ মিন্টু শেখঃ
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল উদ্বোধন হবে ৭ অক্টোবর।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থার্ড টার্মিনাল আংশিকভাবে উদ্বোধন করবেন। দেশের এভিয়েশন খাতে উন্মোচিত হবে নতুন দুয়ার। থার্ড টার্মিনালের আয়তন ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার। ৩ তলাবিশিষ্ট এই টার্মিনালেহ নিচতলায় থাকবে ব্যাগেজ হ্যান্ডলিং সিস্টেম। দ্বিতীয় তলায় থাকবে বহির্গমন লাউঞ্জ, ক্যান্টিন ও বোর্ডিং ব্রিজ। তৃতীয় তলায় রাখা হচ্ছে আগমনী ও বহির্গামী যাত্রীদের ইমিগ্রেশন, চেক-ইন কাউন্টার ও সিকিউরিটি সিস্টেম।
থার্ড টার্মিনালে থাকবে মোট ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজ।
বহির্গমনের জন্য মোট ১১৫টি চেক-ইন কাউন্টার থাকবে। এর মধ্যে ১৫টি সেলফ সার্ভিস চেক-ইন কাউন্টার।
এ ছাড়া ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট নিয়ন্ত্রণ কাউন্টারসহ বহির্গমন ইমিগ্রেশন কাউন্টার থাকবে ৬৬টি।
আর আগমনীর ক্ষেত্রে ৫টি স্বয়ংক্রিয় চেক-ইন কাউন্টারসহ মোট ৫৯টি কাউন্টার থাকবে।
তৃতীয় টার্মিনালের দক্ষিণ প্রান্তে ৩ হাজার ৬৫০ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে ভিভিআইপি এবং ভিআইপি যাত্রীদের জন্য আলাদা বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে।
অত্যাধুনিক থার্ড টার্মিনালে ৩৭ টি উড়োজাহাজ পার্কিং সুবিধা সম্মিলিত অ্যাপ্রোন হয়েছে, যাতে বিমানবন্দরের সক্ষমতা আরো বাড়বে। বর্তমানে শাহজালালে যে দুটি টার্মিনাল আছে বছরে সেগুলো সেবা দিতে পারে প্রায় ৮০ লাখ। নতুন টার্মিনাল তৈরি হলে সেই সেবার সক্ষমতা পৌঁছবে ২ কোটি ৪০ লাখে।
হাইওয়ে, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রেলওয়ে যে কোনো উপায়ে যাত্রীরা এখানে আসতে যেতে পারবেন। ভবিষ্যতে মেট্রোরেলের সঙ্গে এটি সংযুক্ত হয়ে যাবে।
আগের বিমানবন্দরে ভেতর থেকে বের হয়ে যেখানে মাইক্রোবাস বা অটোরিকশায় উঠতে হতো সেই সড়কটি তেমন প্রশস্ত নয়। কিন্তু থার্ড টার্মিনালের সড়কটি হবে প্রশস্ত। এ কারণে খুব সহজে যে কেউ ব্যক্তিগত বা ভাড়ায়চালিত গাড়ি নিয়ে আসতে পারবেন।
মাল্টিলেভেল কার পার্কিংয়ে ১ হাজার ২৩০টি গাড়ি থাকতে পারবে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয় ২০১৭ সালে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।