মোঃ আলাউদ্দীন মন্ডল রাজশাহীঃ
দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ বাহিনী। আইনি যেকোনও সমস্যা, সংকট বা বিপদে নাগরিকদের প্রথম ভরসা বাংলাদেশ পুলিশ। নাগরিকদের নিরাপত্তায় শহর থেকে গ্রামে সবখানে দিনরাত দায়িত্ব পালন করে চলেছেন পুলিশ সদস্যরা। ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে, পুলিশ আছে জনতার পাশে’ এই স্লোগান নিয়ে নানা ধরনের সেবা দিচ্ছে বাহিনীটি। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুলিশে সৃষ্টি করা হয়েছে নানা ধরনের ইউনিট। তবে যানবাহন, স্বাস্থ্য, জনবল ও লজিস্টিকসহ নানা সংকটে জর্জরিত বিশাল এই বাহিনী। সেসব সংকট, সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জ সঙ্গে নিয়েই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) ট্রাফিক বিভাগ। রাজশাহীতে কম ধারণক্ষমতার সড়কে বেশি যানবাহন, ফুটপাত দখল, নিয়ন্ত্রণহীন মাত্রাতিরিক্ত রিকশা চলাচল, দক্ষ চালকের অভাব নানামুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, মোবাইল কোর্ট পরিচালনাসহ বহুমাত্রিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে জনজীবনে শান্তি প্রতিষ্ঠা, অধিকার ও সামাজিক ভারসাম্য রক্ষাসহ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় প্রতিষ্ঠানটি অনবদ্য ঐতিহ্য লালন করে আসছে।
আর সে কারণেই এডিসি হেলেনা আক্তার সততা, নিষ্ঠা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং একাগ্রতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে গত ২১ আগষ্ট ২৩ শোকাবহ দিনে যোগদানের পর হতে প্রতিদিন নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে দূর্বার গতি এগিয়ে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ পুলিশের এ মানবিক কর্মকর্তা এডিসি হেলেনা আক্তার বিদ্যালয় ও কলেজ শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা তৈরীর লক্ষ্যে মিশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৩০ জন শিক্ষার্থী, লক্ষীপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৮১জন শিক্ষার্থী, বালাজান নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৩০০ জন শিক্ষার্থী ও সর্বশেষ ৯ অক্টোবর সোমবার সাড়ে এগারোটায় বঙ্গবন্ধু কলেজ ২৫০ জন শিক্ষার্থীর মাঝে বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন, অপহরন, নিরাপদ ইন্টারনেট প্রযুক্তি ব্যবহার, আত্মহত্যা, ট্রাফিক আইন; মাদক সেবন প্রতিরোধে করনীয় সম্পর্কে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা করেন।
বঙ্গবন্ধু কলেজে অনুষ্ঠিত সচেতনতামূলক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কলেজের প্রিন্সিপাল মো: কামরুজামান প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী মহানগর পুলিশ সহকারী উপ পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ট্রাফিক হেলেনা আকতার। অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কলেজের শিক্ষকবৃন্দ।আলোচনা সভায় এইচএসসি শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতন করা হয়।