খুলনা প্রতিনিধিঃ
খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার মঠবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের আইসি আঃ খালেক ও এএসআই হাসানের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। গত ইং ২৩/০৮/২০২৩ তারিখে পুলিশ সুপার, খুলনা বরাবর ভুক্তভোগী শাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগ ও বাদী সুত্রে জানা যায়, গত ইং ১০/০৮/২০২৩ তারিখে বাদীর পিতার বসত বাড়ীতে ২নং বিবাদী এএসআই হাসান উপস্থিত হইয়া বাদীর পিতার বসত ভিটার উপর ধান্য রোপন করিতে নিষেধ করিয়া বাদীর চাচা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ সঙ্গে জায়গা জমির বিরোধ আপোষ মিমাংসা করিবার জন্য পরবর্তী ১৩/০৮/২০২৩ তারিখে মঠবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পে উপস্থিত হইতে বলিলে বাদী, বাদীর পিতা ও বাদীর অন্য চাচা মাহবুর রহমান ১৩/০৮/২০২৩ তারিখে উপস্থিত হইলে বিকাল অনুঃ ৫.০০ ঘটিকার সময় ১ নং বিবাদীর আঃ খালেক এর সহিত আপোষ মিমাংসার জন্য আলোচনায় বসিলে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর নিকট হইতে অবৈধ টাকার বিনিময়ে প্রভাবিত হইয়া ১ নং বিবাদী আমার পিতার বসত বাড়ী ছেড়ে চলিয়া যাওয়ার জন্য ফাকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়া অংগীকার নামা দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করিয়া অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকিলে বাদী ১ নং বিবাদীর অনৈতিক কাজে বাধা প্রদান করিলে ১ নং বিবাদী ২নং বিবাদীকে ডাকিয়া আস্তে আস্তে কিছু কথা বলার পর পরই ২নং বিবাদী অন্য রুম হইতে বেতু লাঠি আনিয়া বাদীর ঘাড়ে ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি বাড়ী মারিতে থাকিলে আমি উক্ত বাড়ী মারার সময় বাদীর মাথা সরাইয়া নিতে গেলে উক্ত বাড়ি বাদীর নাকের উপরে লাগিয়া বাদীর নাক ফাটিয়া রক্ত বাহির হইয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
পরবর্তীতে বাদীর জ্ঞান ফিরিলে বাদী দেখতে পাই সে জায়গীর মহল হাসপাতালে এবং বাদীর পিতা ও চাচার কাছে থেকে জানতে পারে বিবাদীদ্বয় বাদীর চাচা ও পিতার নিকট হইতে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়া নিয়াছে এবং বিবাদীদ্বয় এই বলিয়া হুমকি দিয়াছে যে, আমাদের নামে কোথাও কোন অভিযোগ করিলে তোদের কে মিথ্যা মামলায় দিয়ে রিমান্ডে এনে মেরে পঙ্গু করে ফেলিব।
এ ব্যাপারে উপস্থিত স্বাক্ষী জামিরুল ও মাহবুবের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তারা জানান, ঘটনা সত্যি আমাদের কে পুলিশ ক্যাম্পে ডেকে পূর্ব পরিকল্পনা মতো শাহারুল কে বেতের লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধর করে। এবং বেতের লাঠির আঘাতে নাক ফেটে অজ্ঞান হয়ে পড়িলে আমরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করি।
এ ব্যাপারে মঠবাড়ী পুলিশ ফাড়ির আইসির সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, ঘটনা সত্য নয় বরং আমি দুই পক্ষকে ডেকে মিমাংসার চেষ্টা করেছি ও মিমাংসার চেষ্টা এখনও চলমান। অপর পক্ষ হয়তো আমার কথায় আশ্বস্ত না হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছে।
এ ব্যাপারে এ এস আই হাসানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, ঘটনা এ রকম না। তাকে জিজ্ঞেসা করা হলো ঘটনা কি রকমের। তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।