নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর বদলগাছীতে চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি পুরাতন ভবন এবং পাঁচটি গাছ নিলামে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার যোগসাজশে ৫ লাখ টাকার মালামাল গোপনে মাত্র ১ লাখ ১২ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রি হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। পুরাতন ভবন এবং গাছ নিলামের বিষয়টি কোন প্রকার মাইকিং বা নোটিশ ছাড়া করায় জনমনে আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।
গোপনীয় সুত্রে জানা যায় যে, সোমবার সকাল ১১ টায় তেতুলিয়া,কোলা ১২ টায়, বিষ্ণেপুর দুপুর ২ টায় এবং সেনপাড়া৩:৩০ মিনিটে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন এবং গাছ প্রকাশ্যে নিলাম আহ্বান করা হয়। কিন্তু নিলাম আহ্বানের আগে কোন প্রকার প্রচার-প্রচারণা নোটিশ মাইকিং ছাড়াই স্থানীয় সরকার বিভাগের বদলগাছী উপজেলায় চারটি স্কুলে পুরাতন ভবন ও গাছ নিলাম করা হয়। খবর পেয়ে ইউএনও অফিস এবং প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের নোটিশ বোর্ডে কোন নোটিশ টাঙানো দেখতে পাওয়া যায় নি।
সরেজমিনে স্কুলে গিয়েও নোটিশ এবং মাইকিং ছাড়া চারটি স্কুলের গাছ এবং ভবন নিলামে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মো জাহিদ হোসেন এবং কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সাখাওয়াত, মস্তফা, এবং প্রদীপ কে দেওয়া হয়।
রব্বানী নামে কোলা ইউনিয়নের এক ব্যক্তি বলেন উপজেলার চারটি সরকারি স্কুলের পুরাতন ভবন এবং গাছ ওপেন নিলাম আগাম প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই ৫ লাখ টাকার মালামাল গোপনে মাত্র ১ লাখ ১২ হাজার ৭০০ টাকায় বিক্রয়ের নিলাম ডাক সম্পন্ন করা হয়েছে। আমিও নিলামে অংশগ্রহণ করতে চেয়েছিলাম। তবে ছাত্রলীগের ছেলেদের বাঁধার মুখে নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারিনি। পরে অবশ্য শিক্ষা কর্মকর্তা আমার নাম দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে।
ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মো জাহিদ হোসেন এবং কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সাখাওয়াত অনিয়মের কথা অস্বীকার করে জানান, কাজ না পেয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে একদল লোক। নিলামে কোনো অনিয়ম হয়নি।
তেতুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো মাহবুব আলম বলেন, আমি মসজিদের মাইকে ভবন নিলামের বিষয়টি সকল কে জানিয়েছি। তবে নোটিশ টাঙানো হয় নি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো আমিনুল ইসলাম কে নোটিশ এবং মাইকিং ছাড়া গাছ এবং ভবন নিলামের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,নোটিশ টাঙানো হয় নি। তবে নোটিশ টামানোর কথা প্রতিটি স্কুলের শিক্ষকদের বলা আছে, আমার জানা মতে মসজিদের মাইকে সবাই কে জানিয়ে দেওয়া আছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ আলপনা ইয়াছমিন জানান, নোটিশ আমি পেয়েছি। কেন নোটিশ টাঙানো হলো না বিষয়টি আমি দেখছি।তবে নিলাম ফেয়ার হচ্ছে কি না সেটা দেখেন।অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।