দেশজুড়ে

সাতক্ষীরাতে পানিতে ব্যাকটেরিয়া দূষণ পাওয়া গেছে ৫৮ শতাংশ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সম্প্রতি সমাপ্ত নেদারল্যান্ড সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ওয়াশ এসডিজি প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত শেষ জরিপে উক্ত ফলাফল পাওয়া যায় । জরিপে দেখা যায় যে বেজলাইন ২০১৮ জরিপে প্রাপ্ত ফলাফল থেকে এন্ড লাইন জরিপে টয়লেট ব্যবহারের হার বেড়েছে 46%। কিন্তু খাবার পানিতে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া দূষণ পাওয়া গেছে ৫৮ শতাংশ নমুনাতে এবং আর্সেনিক পাওয়া গেছে ৯ শতাংশ নমুনাতে।

প্রধান উৎস থেকে জলের প্রাপ্তি/ব্যবহার বেড়েছে ৩৭ লিটার থেকে ৫৫ লিটারে। এছাড়া ওপেন ডেফিকেশন অর্থাৎ খোলা জায়গায় মলত্যাগ প্রায় শূন্যের ঘরে এসেছে। হাইজিন অনুশীলন বেড়েছে ৯ শতাংশ থেকে ৭৭ শতাংশে।এ জরিপে মোট ৪৯২ খানা, ৯ স্কুল,০৩ কমিউনিটি ক্লিনিক অংশগ্রহণ করে। মোট ২৪৬ খানার পানির নমুনা পরীক্ষা করা হয় তিনটি প্যারামিটারে (আর্সেনিক, লবণাক্ততা এবং ই- কোলাই ব্যাকটেরিয়া)।

এই জরিপে সাতক্ষীরা ও কলারোয়া পৌরসভা এবং সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তিনটি ও তালা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের ৪৯২ পরিবারকে এই জরিপের আওতায় নেওয়া হয়। এখানে উল্লেখ্য যে ২০১৮ সালে প্রকল্পের শুরুতে পানি, স্যানিটেশন এবং হাইজিন সম্পর্কিত বিষয় জরিপ করা হয়েছিল এবং প্রকল্পের শেষে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি- মার্চ মাসে শেষ জরিপে উক্ত একই বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা হয়। এতে দেখা গেছে প্রতিটি সূচকে পানি, স্যানিটেশন এবং হাইজিন এর উপস্থিতি উন্নীত হয়েছে। তবে ব্যাকটেরিয়া দূষণ বেড়েছে। বেজলাইনে ৪৬ পার্সেন্ট ছিল।

উপরে উল্লেখিত ফাইন্ডিংস ২৩ আগস্ট ২০২৩ সাতক্ষীরার ম্যানগ্রোভ ভেনুতে জরিপকৃত এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, স্কুল কমিউনিটি ক্লিনিক, ওয়াশ উদ্যোক্তাদের সাথে শেয়ার করা হয়।

উক্ত ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মনিরুজ্জামান বুলবুল মেয়র কলারোয়া পৌরসভা, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খলিশখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাব্বির হোসেন, জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মফিদুল হক লিটু হ্যাঁ মফিদুল হক লিটু এর মা জনম মফিদুল হক লিটু সাতক্ষীরা সদর উপজেলা, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমীক সুপারভাইজার বাবু প্রভাস কুমার, সহকারী সার্জন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সাতক্ষীরা ডাক্তার বাবু ডাক্তার রাহুল দেব রায়।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সাতক্ষীরা পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ লিয়াকত আলী।

ওয়ার্কশপে মূল উপস্থাপনা উপস্থাপন করেন মোহাম্মদ শামসুর রহমান মনিটরিং এন্ড এ্যাভালুয়েশন এন্ড লার্নিং অফিসার সিমাভী। তিনি বরগুনা অঞ্চলের উপস্থাপনায় আরবান এবং রুরাল এলাকা ভিত্তিক তুলনামূলক আলোচনা করেন।

মূল উপস্থাপনার পর খোলা আলোচনায় সকল অংশগ্রহণকারী তাদের মতামত ব্যক্ত করেন এবং সিমাভি এবং পার্টনার সংস্থা(হোপ ফর দ্যা পুরেষ্ট,উত্তরণ প্রাকটিক্যাল একশন) প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলার ডিপিএইচই প্রতিনিধি, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, হেলথ সেন্টার এর প্রতিনিধি, সিএস ও প্রতিনিধি, এম এফ আই প্রতিনিধি, সাংবাদিক ব্যবসায়ীবৃন্দ।

হোপ ফর দ্যা পুরেস্টের টাউনকোডিনেটর মৃণাল কান্তি সরকারের সঞ্চালনায় কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন উত্তরণের প্রকল্প সমন্বয় করি হাসিনা পারভীন। প্রাকটিক্যাল একশন বাংলাদেশের প্রজেক্ট ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম সোহান এবং প্রকল্পের সকল স্টাফ বৃন্দ ।সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি

এই বিভাগের আরও খবর

Back to top button