দেশজুড়ে

হাইমচরে প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে লাইসেন্স বিহীন প্যাথলজি ব্যবসা ফাকি দিচ্ছে রাজস্য আয়।

স্টাফ রিপোর্টারঃ
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার মানুষ শারীরিক অসুস্থতার আক্রান্ত হলেই আসে ডাক্তারের কাছে,নিবন্ধিত ডাক্তাররা চিকিৎসার সার্থে বা আর্থিক সার্থে রুগীকে প্রয়োজনীয় পরিক্ষা দিয়ে থাকে।সেই সুযোগেই প্যাথলজি ব্যবসায়ীরা রুগীদের কাছথেকে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ।

দঃখের বিষয় এই যে,দুই একটি প্যাথলজি ব্যতিত সবকটি প্যাথলজি সরকারী অনুমোদন বিহীন প্যাথলজি পরিচালনা করছে,এবং ল্যাব টেকনোলজিস্ট দের নেই কোন ডিপ্লমা,একজন ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট দিয়ে চলছে ল্যাবরটরীর পরিক্ষা নিরীক্ষা।ডিজিটাল এক্স-রে দিয়ে সেবা নিচ্ছেন কিন্তু নেই কোনপ্রকার লাইসেন্স।বৈধ লাইসেন্স না থাকায় প্রতিবছর সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব আয়।প্রতিটি প্যাথলজির রিসিট গুলোতে ভ্যাট ও ট্যাক্স উল্লেখ রেখেই টাকা নিচ্ছে কতৃপক্ষ।

একাধিক রুগীর ও রুগীর অ্যাটেনডেন্স দের অভিযোগ যে,হাইমচর উপজেলা সদরের আলগী বাজারে সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরিক্ষার মান ভালোনা ঢাকা,চাঁদপুরে প্যাথলজি গুলোতে পরিক্ষার যেই টাকা নেওয়া হয়, সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার সহ বাকি গুলোতে ও সেই পরিমাণে টাকা নিচ্ছে।

এই বিষয়ে অভিযোগ কারি আবু তালেব বাবু জমাদার বলেন,আমি সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গুর পরিক্ষা করতে গেলে তাঁহার কাছ থেকে টাকা বেশি নিয়েছে এবং বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করেছে বলে অভিযোগ করেন বাবু জমাদার এবং হাইমচরের মেঘনা পারের সাধারণ মানুষকে কেমন হয়রানি করে সেটা বুঝতে কষ্ট হওয়ার নয়।

দৈনিক প্রিয় চাঁদপুর এর বিশেষ প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন পাটওয়ারী বলেন,আমি একমাস পূর্বে ডাক্তারের দেওয়া পরিক্ষা করতে সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যা-ই।পরিক্ষার রিপোর্ট গুলো ঢাকায় রুগীর সাথে ঢাকায় নিয়ে গেলে একি পরিক্ষা বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করানো হইলে একি পরিক্ষার দুই রকম রিপোর্ট দেখে ডাক্তার বলে সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রক্তের রিপোর্ট গুলো ভুল ও ভূয়া রিপোর্ট।

এই বিষয়ে হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন,উক্ত বিষয়ে ডায়াগনস্টিকের মালিকদের বলা হয়েছে যে,তাদের বৈধ লাইসেন্স ও ল্যাব টেকনোলজিস্ট দের কাজপত্র প্রধান করতে।এখনও তারা কোনপ্রকার কাগজপত্র জমা দেয়নি,উক্ত বিষয়ে আমি আমার উদ্ধতন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর,এম,ও মামুন রায়হান বলেন,আমরা বিগত ৪/৫মাস পূর্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট সহ অভিযান করে ৪’টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা করি।এবং তাহাদের লাইসেন্সের অন্তর্ভুক্ত হওয়া ও লাইসেন্স রিনিউ করা জন্যে চাপপ্রয়োগ করা হয়।

ডেঙ্গুর মহামারি সংক্রমণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ল্যাবরেটরীতে CBC&NS1&IgG পরীক্ষা হয় কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব আর,এম,
ও মামুন রায়হান বলেন,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যাপ্ত পরিমাণে রিয়েজেন্ট ও কিট বরাদ্দ থাকেনা,তাই সকল রুগীকে সাপোর্ট দেওয়া সম্ভব হয়নি,ডেঙ্গু যেহেতু মহামারীতে পরিনিত হয়েছে সেই ক্ষেত্রে জেলা সিভিল সার্জন এর নির্দেশনা ক্রমে হাইমচরের প্রতিটি প্যাথলজিতে একটি নির্দেশনা প্রধান করা হয়েছে যে,ডেঙ্গু মহামারী সম্পৃক্ত পরিক্ষা গুলোর নির্দিষ্ট দামে নেওয়ার জন্যে।ভুক্তভোগী রুগীরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

Back to top button